সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বৈঠকে অভিমত এইডস রোগীর দরকার সুচিকিৎসা

0

 

চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান বলেছেন, বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইডস রোগী পাওয়া যায়। প্রায় এক কোটি লোক দেশের বাইরে কাজ করার পরেও কিন্তু আমাদের ভীতিকর অবস্থা নেই। এ জন্য সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামাজিক উদ্যোগের বড় ভূমিকা আছে। কিন্তু এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে এইডস সম্পর্কে একধরনের আতঙ্ক আছে, এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
মনে রাখতে হবে, এটা কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। এইডস রোগীকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসতে হবে। গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় মিলনায়তনে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের সংবেদনশীলতা বৈঠকে’ তিনি এসব কথা বলেন।
সোসাইটির হালিশহর ডিআইসি ম্যানেজার মো. হারুন অর রশীদের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রোগ নিয়ন্ত্রক ডা. নূরুল হায়দার, ডা. জাহিদ, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়া, হিজড়াদের গুরুমা জুলিয়া, গুরুমা ফাল্গুণী, সোসাইটির মুরাদপুর ডিআইসি ম্যানেজার শ্যামল কুমার মন্ডল, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও আইনজীবী।
ডা. আসিফ খান বলেন, এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেই ঘৃণার চোখে দেখে বলে আক্রান্ত ব্যক্তি রোগের কথা গোপন রাখেন। ফলে সহজে রোগ ছড়ায়। তাই ঘৃণা নয়, এইডস রোগীদের জন্য দরকার সুচিকিৎসা। এ সম্পর্কে সমাজে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। হালিশহর ডিআইসি ম্যানেজার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এসডিজিতে তিন নম্বর লক্ষ্যমাত্রা হলো সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা। সব বয়সী মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করা। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হলে এসডিজিতে আলাদাভাবে এইচআইভির উল্লেখ না থাকলেও এটি নিয়ে কাজ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি