সিপিইসি চালুর পর পাকিস্তানে বারবার হামলার শিকার চীনারা

13

 

বেইজিং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) চালু করার পর থেকে পাকিস্তানের সিন্ধু, বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলে চীনা নাগরিকদের উপর বারবার হামলা হচ্ছে। হামলাকারীরা পাকিস্তানে চীনা স্বার্থের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে। গত ছয় বছরের রেকর্ডে দেখা যায়, সিপিইসি প্রকল্পগুলির সাথে যুক্ত চীনারা পাকিস্তানে অবতরণ করার পর বিভিন্ন চরমপন্থী গোষ্ঠী দেশের অভ্যন্তরে তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। সম্প্রতি করাচির সদর এলাকায় একটি ডেন্টাল ক্লিনিকের অভ্যন্তরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি চালালে একজন চীনা নাগরিক নিহত হন এবং আরও দুজন আহত হন। এশিয়ান লাইট প্রকাশনা অনুসারে, ২০১৬ সাল থেকে, যখন বেইজিং সিপিইসি চালু করেছিল, এটি ছিল পাকিস্তানে চীনা নাগরিক এবং স্বার্থের উপর দশ দফার আক্রমণ। বর্তমান শেহবাজ শরীফ সরকার ক্ষমতায় আসার পর করাচিতে চীনা নাগরিকদের উপর দ্বিতীয়বার হামলা হয়। এই আক্রমণগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সিন্ধু প্রদেশে রাজনৈতিক কর্মীরা এবং পাকিস্তানি নাগরিকরা একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। তারা তাদের সম্পদ শোষণের জন্য চীনের নিন্দা জানায় এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে স্লোগান দেয়। এর আগে স্থানীয়রা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দেয় এবং পাকিস্তানের বন্দর শহর গোয়াদর বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান জলসীমায় চীনের অবৈধ মাছ ধরার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
উল্লেখ্য, সিপিইসি প্রকল্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একটি অংশ, যা ৭০টি দেশজুড়ে বিস্তৃত। গত জুলাই মাসে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আপার কোহিস্তান এলাকায় দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দিকে যাবার সময় বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি এবং চীনা নাগরিকদের বহনকারী একটি বাসে আত্মঘাতী হামলায় নয়জন চীনা শ্রমিক নিহত হন। পাকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত নং রং অক্ষত থেকে রক্ষা পান। ২০২১ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের কোয়েটায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হলে পাঁচজন নিহত এবং ১২ জন আহত হন।