সিন্ধে সেনা জুলুম, প্রতিবাদে ‘গৃহযুদ্ধ’ পাকিস্তানে

20

সেনাবাহিনীর অতি সক্রিয়তায় ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান। অশান্তির আগুনে জ্বলছে সিন্ধ। জ্বলছে করাচি। গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবর। এদিকে দুটি বিস্ফোরণে বুধবার কেঁপে ওঠে করাচি।
সেনা জুলুমে পাকিস্তানি পুলিশও বিক্ষোভে শামিল। কারণ সিন্ধের পুলিশপ্রধানকেই সেনাবাহিনী অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ। পাক-গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের বিরুদ্ধেও বাড়ছে জনরোষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে সেনাকর্তারা এখন রফাসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অবশ্য বহু আগে থেকেই সেনাকর্তাদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন। দেশ জ্বললেও বিবৃতি দেওয়া ছাড়া তাঁর হাতে আর কোনো ক্ষমতা নেই বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান।
ঘটনার সূত্রপাত বহু আগে থেকেই। পাকিস্তান সেনাকর্তারা ইমরান খানকে তাঁদের হাতের পুতুল বানিয়ে সর্বত্রই বকলমে জারি করেছিলেন সামরিক শাসন। সিন্ধ প্রদেশ পুলিশের আইজিপি অপহরণ সেই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষকে সামনে নিয়ে আসে। ১৯ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনা আইজিপি মুস্তাক মেহরকে তাঁর বাসগৃহ থেকে অপহরণের ঘটনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়। ক্ষমতা লোভী পাকিস্তানি সেনাকর্তারা চেয়েছিলেন, রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে আরো বেশি সেনা কর্তৃত্ব কায়েম করতে। সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জামাই মহম্মদ সফদরকে আইজিপি অপহরণের আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। হোটেল থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় সেনা ছাউনিতে। নওয়াজের মেয়ে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) দলের সহসভানেত্রী মরিয়মকেও গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা ছিল সেনাকর্তাদের। দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে তাঁরা সিন্ধে গিয়েছিলেন। সিন্ধ সফরের শুরুতেই মহম্মদ আলী জিন্নাহর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।