সিনোফার্মের ৯১ হাজার টিকা এল চট্টগ্রামে

32

তৃতীয় দফায় চট্টগ্রামে এসেছে চীনের তৈরি সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। প্রতি ভায়াল ভ্যাকসিন মাত্র একজনকে প্রয়োগ করা যাবে। সিনোফার্মের এ টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে। ১ম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭ টায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্রিজার ভ্যানে করে আসা প্রতি কার্টনে ৬’শ ভায়াল করে ১৫২টি কার্টন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এরপর ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডব্লিউআইসি) ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামের জন্য তৃতীয় দফায় চীনের তৈরি সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২’শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা পেলে শনিবার বা এর পরের দিন রবিবার থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এবার রাজধানী ঢাকা বাদে প্রত্যেক জেলায় ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য কেবল একটি মাত্র কেন্দ্র থাকবে। যে জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে সেখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যে জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেই সেখানে সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ টিকা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সিনোফার্মের এ টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে। ১ম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বা জেলার জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। করোনার সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, চীনা নাগরিক, বিদেশগামী, বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিচ্ছন্ন কর্মী, মুর্দা গোসলকারী, লাশ দাফনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি যারা রেজিস্ট্রেশন করে এখনো টিকা নিতে পারেননি তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হবে। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং কলেজ, আইএইচটি, মিডওয়াইফারী ও ম্যাটস্ এর শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দিয়ে নির্ধারিত ফরমে রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে এ টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই শাখায় প্রাপ্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন খুব সাবধানতার সাথে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডবিøউআইসি) সংরক্ষণ করা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩১ জানুয়ারি ১ম দয়ায় অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ করোনার টিকা চট্টগ্রামে আসে। পরে গত ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা আসে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
এসময় ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মো. জাহাঙ্গীর, জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট মিজানুর রহমান, ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. হামিদ আলী ও কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান মো. জাফর উল্লাহ। ভ্যাকসিন তদারকিতে ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. মো. নুরুল হায়দার, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়া, জেলা ইপিআই টেকনোলজিস্ট কাজল কান্তি পাল ও বেক্সিমকো’র সিনিয়র স্টোর ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসীন।