সিডিএ’র ভূমি নিবন্ধন খাতে ফাইল অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রতা, ক্যাবের উদ্বেগ

15

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)-তে ভূমি নিবন্ধনের প্রত্যয়ন পত্রের জন্য দাখিলকৃত ফাইল বছরের পর বছর পড়ে থাকলেও অনুমোদন না হবার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুস সালামের সময়ে ১ সপ্তাহে ভ‚মি নিবন্ধনের ফাইল অনুমোদন হবার নজির থাকলেও বর্তমানে ৩-৪ বছরেও ফাইল অনুমোদন না হবার ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। এদিকে সিডিএ আবারও প্লট ও ফ্ল্যাট ব্যবসায় ঝুঁকলেও এ ধরনের নজিরবিহীন ভোগান্তিতে সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে। তাই সরকারি সেবা সংস্থা হিসাবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর অভ্যন্তরে জটিলতা দূর করে সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি নিরসনের দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
২ জুন এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের কারনে সেবা প্রার্থীরা এখন সরকারি অফিস-আদালতে না গিয়েও অনলাইনে সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন। কিন্তু ঠুনকো অজুহাতে ভ‚মি নিবন্ধনের অনাপত্তি ছাড়পত্র প্রদানের মতো ঘটনায় বছরের পর বছর কালক্ষেপণের কারণে গ্রাহকরা নানা জটিলতায় ভুগছেন। বিশেষ করে যারা ঋণ নিয়ে ভ‚মি, ফ্ল্যাট কিনেছেন তাদেরকে ঋণের বিপুল পরিমান সুদ গুণতে বাধ্য হতে হচ্ছে। এছাড়াও সেবা প্রদানকারীদেরকে সরকার ঘোষিত সিটিজেন চার্টার্ড অনুযায়ী সেবা প্রদানের নির্ধারিত সময়ের পুরোপুরি বরখেলাপ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সিডিএ’র আওতাধীন আবাসিক এলাকাসমূহে ভ‚মির মালিকানা হস্তান্তরে অতিরিক্ত ফিস নির্ধারণের কারণে ভ‚মির হস্তান্তর, জমির রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য জটিলতায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সিডিএ’র আওতাভুক্ত আবাসিক এলাকাসমূহে জমি বিক্রি, হস্তান্তর থমকে আছে। অনেকে প্রয়োজনে জমি কিনলেও অতিরিক্ত নিবন্ধন ফি’র কারণে ভ‚মির নিবন্ধন করতে পারছেন না। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় কাটাপ্রতি ভ‚মি হস্তান্তর ফি ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, আর তার উপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ এবং মৌজা ভ্যালু কাটা প্রতি ৪৫ লক্ষ টাকায় উন্নীত করায় জমি ক্রয় বিক্রয় নিবন্ধন বন্ধ আছে। অনেকেই হেবা বা চুক্তিনামা করে আপাতত কাজ সারছেন। আবার সিডিএ এর আওতাভুক্ত আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা সরকারের পাশাপাশি সিডিএকেও দুই ধরনের রেজিস্ট্রেশন ও হস্তান্তর ফি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। যা অনেকটাই এক দেশে দুই আইনের মতো। বিজ্ঞপ্তি