৭০ লক্ষাধিক নগরবাসীর বসবাসযোগ্য নগরী গড়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)র কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা এবং পরিদর্শকদের মধ্যে দুর্নীতি ও অনিয়মের মনোভাবের কারণে পরিকল্পিত নগর উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীরা প্রতিনিয়ত ফাইল পত্র নিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। মহানগরের এমন কোন এলাকা নেই-যেখানে সরকার কর্তৃক প্রনীত ইমারত নির্মাণ আইন নীতিমালা লংঘন, প্লান (নকশা) অনুমোদন ব্যতীত ভবন নির্মাণ, অথবা নকশাবহির্ভূত ব্যতিক্রম ভবন নির্মাণের ছড়াছড়ি বর্তমান মহানগরীতে দৃশ্যমান। নগরীর আগ্রাবাদ ডেবার দক্ষিণ পাড়, গোসাইলডাঙ্গা, হাজীপাড়া – বেপারিপাড়া, পতেঙ্গা, হালিশহর, চন্দনপুরা, পাথরঘাটা ও বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার গলির ভেতরসহ অনেক এলাকা এমনকি পাড়া- মহল্লা, গলি- সরু গলির ভেতর আলোচ্য অসংখ্য ভবনের খোঁজ পাওয়া যাবে। অনেক ভবন মালিকের অল্পস্বল্প জায়গার উপর তিন, চার ও পঞ্চম তলা পর্যন্ত নিয়মবহির্ভূত ভবন নির্মাণ চোখে পড়বে। এধরনের শত শত অভিযোগ সিডিএতে ৫২০ টাকা চালানের মাধ্যমে দায়েরের পর ‘অভিযোগটি’ হয়ে উঠে এলাকাভিত্তিক দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী এবং পরিদর্শকদের “বাণিজ্য” করার উৎস। আবার একজন পরিদর্শকের সাথে থাকে তাদের মনোনীত দালালচক্র। দায়িত্বহীনভাবে সাইড পরিদর্শন করে অনিয়মভাবে নোটিশ জারি করার উদাহরণ রয়েছে। দালালদের মাধ্যমে অভিযুক্ত পক্ষের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে অভিযোগের তথ্যাদি সরবরাহ, অভিযোগের কপি গোপন করা ইত্যাদি অনৈতিক কর্মকাÐ দীর্ঘদিন থেকে অদ্যাবধি অভ্যহত সিডিএর অভ্যন্তরে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও বেপরোয়া পরিদর্শকদের নিয়ন্ত্রণ করা জন্য যেন কেউ নেই। গত ৩ আগস্ট দুদকের গণশুনানীতে সিডিএর বিভিন্ন অনিয়মের পাশাপাশি নিয়মবহির্ভূত ভবন নির্মাণের একাধিক অভিযোগের তথ্যাদির জবাব দিতে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন একাধিক প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা। তাদের অপ্রতিরোধ্য কর্মকাÐে পরিকল্পিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সিডিএর ভাবমূর্তি আজ তলানিতে।
এমতাবস্থায়, অননুমোদিত অবৈধভাবে নির্মিত ভবনের মালিকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় আইন ও নীতিমালা লংঘন করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণের ফলে সিডিএর পরিকল্পিত নগর উন্নয়নের মৌলিক উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে নিঃসন্দেহে। এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যানের গভীর মনোযোগ কামনা করছি।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে
এম. আমিন উল্লাহ মেজু
২২০, শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
