সিটি কর্পোরেশন মেয়রের আশ্বাসে আশ্বস্ত ৩০২ অস্থায়ী শিক্ষক

2

৮ থেকে ১০ বছর চাকরি করার পরও স্থায়ী হওয়ার অনিশ্চয়তায় থাকা ৩০২ শিক্ষক মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী শিক্ষক। স্মারকলিপি গ্রহণের পর এসব শিক্ষককে স্থায়ী করার প্রচেষ্টা চালানোর কথা সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর মুখে শুনে আশ্বস্থ হয়েছেন স্মারকলিপি নিয়ে যাওয়া এসব শিক্ষক। পূর্বদেশের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অস্থায়ী শিক্ষকদের বেশ কয়েকজন।
সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্য পদের ভিত্তিতে চাহিদা প্রেরণের জন্য চিঠি প্রেরণ করেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা (উপসচিব) লুৎফুন নাহার। অস্থায়ীদের স্থায়ী না করে এমন উদ্যোগ মেনে নিতে পারেননি অস্থায়ী শিক্ষকরা। তাই গত বৃহস্পতিবার মেয়র কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। ওইদিন মেয়রের সাথে দেখা করতে না পারলেও গতকাল শুক্রবার মেয়রের বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন তারা। এসময় মেয়র আন্দোলনরত শিক্ষকদের সামনেই প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষক নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশ নেন। একইসাথে অস্থায়ীদের স্থায়ী করার আশ্বাস দেন। এতে আশ্বস্ত হয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়ে অস্থায়ী শিক্ষকরা মেয়রের বাড়ি ছাড়েন।
জানা গেছে, চসিক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে চসিক পরিচালনাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, ধর্মীয় শিক্ষক, পালি শিক্ষক, সংস্কৃতি শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (স্নাতক), শিক্ষক বনাম অফিস সহকারী পদে সরাসরি নিয়োগ করতে হয়। তাছাড়া সিটি কর্পোরেশনে দেড়শ বছরের ইতিহাসে কখনও এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষক নেওয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরাসরি নিয়োগ তারপর স্থায়ী করা হয় নিয়োগপ্রাপ্তদের। তাদের মধ্যে অনেকে এমপিওভুক্ত হলেও চসিক চাকরি বিধিমালা অনুসারে বাড়ি ভাড়া, অবসর ছুটিসহ সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন।