সিজেকেএস-ইস্পাহানি প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ পাইরেটস এর পরাজয়ের হ্যাটট্রিক দুর্দান্ত খেলে বন্দরের প্রথম জয়

20

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বড় বাজেট নিয়ে দুরদর্শীতার সাথে প্রায় এক বছর আগেই বড় বড় তারকাদের দলে ভিড়িয়ে শক্তিশালী দল গঠন করে শিরোপার দাবিদার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল পাইরেটেস অব চিটাগাং। কিন্তু কাগজে-কলমে শক্তিমত্তার পরিচয় মাঠে দিতে পারছে না চট্টগ্রামের অন্যতম সেরা ক্রিকেট সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক আহসান ইকবাল আবির এর দলটি। শুধু তাই নয়, একের পর এক পরাজয়ের মাধ্যমে গত মওসুমের ১১নং দলের কাতারে এখন শিরোপা প্রত্যাশী পাইরেটেস। নিজেদের প্রথম খেলায় জয়ের পর পরাজয়ের হ্যাটট্রিক করেছে তারা। অন্যদিকে সিজেকেএস-ইস্পাহানি প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইস্পাহানির সাথে টাই করে একটি পয়েন্ট পেয়েছিল বন্দর।
গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় চবক ক্রীড়া সমিতির কাছে ৩৭ রানে হারে পাইরেটস।
টসে জিতে পাইরেটস আগে ফিল্ডিং করতে নামে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই বন্দরের সাব্বির হোসাইনকে আউট করে সফলতা এনে দেন নাহিদুল ইসলাম। ১২ ওভারের মাথায় নাজিম উদ্দিন সাব্বিরকে আউট করে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন সাজিদ আব্দুল্লাহ। দুই সাব্বিরের বিদায়ের পর বন্দরের হাল ধরেন তিন লোকাল হিরো মামুন, রাসেল ও উইকেটকিপার তারেক কামাল। তিন জনই দেখা পান অর্ধ শতকের। এর মধ্যে মামুন ম্যাচ সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। ৬৯ রানের বলে তিনি বলকে সীমানা ছাড় করান ৮ বার, যার মধ্যে একবার হাওয়ায় ভাসিয়ে। এছাড়া রাসেল ৮৪ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫০ রান করে টিপু সুলতানের প্রথম শিকারে পরিণত হন। লিলিপুটিয়ান তারেক কামালের ৫৬ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি করে চার ও ছয়। তিনিও আউট হন টিপু সুলতানের বলে।
এ তিন জন ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান না পাওয়ায় ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই বন্দর অলআউট হয়ে যায় ২৩৮ রানে। পাইরেটস-এর হয়ে সাজিদ আব্দুল্লাহ ও টিপু সুলতান উভয়ই নেন ৪টি করে উইকেট। এছাড়া রুবেল ১৬ ও নাহিদুল ৩৯ রানে ১টি করে উইকেট নেন। বন্দরের রান পাড়ি দিতে গিয়ে পাইরেটসকে দারুণ সূচনা এনে দেন জাতীয় তারকা সাদমান ইসলাম ও আরমান উল্লাহ। ১৯.৫ ওভারে এ দুজন দলকে এনে দেন ৮২ রান। ৫৬ বলে ৪৪ রান করা সাদমানকে তুলে নেন বন্দরের আরিফ। ৯৫-এর মাথায় আরমানকেও (৭২ বলে ৩৫ রান) সাজঘরে ফেরত পাঠান আরিফ।
এরপর পাইরেটস-এর মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটাররা সেট হয়ে আউট হয়ে গেলে বন্দরে নোঙর ফেলা সম্ভব হয়নি তাদের। পাইরেটস-এর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আলিফ ২৯, মাহমুদুল হাসান জয় ১৩, অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ৩৭ ও রুবেল ১১ রান করেন। ৪৯ ওভারে ২০১ রানে শেষ হয় পাইরেটস দলের ইনিংস।
বন্দরের আরিফ আহমেদ ৩২ রানে তুলে নেন ৫ উইকেট। এনামুল ৩৩, নাহাদুজ্জামান ৪০, মঈনখান ৪৮ রানে একটি করে উইকেট লাভ করেন। আজ চতুর্থ রাউন্ডের তৃতীয় খেলায় ফ্রেন্ডস ক্লাব ও শহীদ শাহজাহান সংঘ প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবে।