সিইউজের ছয় মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিককে সংবর্ধনা ফজলে করিমকে পূর্ণ মন্ত্রী করার আহŸান সাংবাদিক নেতাদের

19

রাউজানের সংসদ সদস্য ও রেলপথ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহŸান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতারা। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে’র উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো বক্তব্য রাখেন। সিইউজের ছয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সাবের আহমদ আসগারী, নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, নওশের আলী খান, পঙ্কজ দস্তিদার, মনজুরুল আলম মঞ্জু ও দেবপ্রসাদ দাস দেবুকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রথম দুইজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। অনুষ্ঠানে সিইউজের সাবেক সভাপতি শহীদুল আলম, বিএফইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক মহসিন কাজী, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, প্রচার সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, প্রতিনিধি ইউনিট প্রধান সাইদুল ইসলামসহ চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংকট নিয়ে সাংবাদিকদের জোরালো ভূমিকার আহŸান জানিয়ে অনুষ্ঠানে ফজলে করিম বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পিসিআর মেশিন না থাকায় বিদেশগামী যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কেবল চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে সাধারণ মানুষ ভিজিট ভিসায় মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারছেন না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব বলার মতো কেউ নেই। সাংবাদিকদের এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, চট্টগ্রামের রাউজান একসময় আতঙ্কের জনপদ হিসেবে পরিচিত থাকলেও সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের জন্য শান্তির ঠিকানা বানিয়েছেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তাঁর একক নেতৃত্বে এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সার্বিক জীবনমানে পরিবর্তন এসেছে। রাউজানের পরিবর্তনের এ রূপকারকে মন্ত্রী হিসেবে পেলে সারাদেশের মানুষ উপকৃত হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলার পরও তাঁর দলের এমপিরা পূজামÐপের নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে পারেননি। তারা দায়িত্ব পালন করলে পাথরঘাটা, জেএম সেন হলে হামলার ঘটনা ঘটতো না। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম রাউজান। রাউজানের সংসদ সদস্যের বলিষ্ট ভূমিকার কারণেই এটি হয়েছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রীসভায় ফজলে করিমের মতো শক্তিশালী লোকের দরকার রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সাংবাদিক সমাজের হয়ে আহŸান জানাই তাঁকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব দিন।
সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে সা¤প্রদায়িক হামলার ঘটনায় যখন সকলের ঐক্য দরকার তখন একটি দুষ্টচক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সংগঠনগুলোতেও বিভাজনের চেষ্টা চালিয়ে ফায়দা লুঠার চেষ্টা করছে। এসব চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।