সিআরবিতে সাংস্কৃতিক সমাবেশ

25

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিআরবি থেকে হাসপাতাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিআরবি চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করে নাগরিক সমাজ। এতে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক সমাজের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
জাতীয় সংগীত, জাগরণের গান, লালনগীতি, আবৃত্তি, অভিনয় আর বিশিষ্টজনদের কথামালা দিয়ে শেষ হয় সাংস্কৃতিক সমাবেশ। আজ শনিবার শীর্ষ রাজনৈতিক, মন্ত্রী, মেয়র আর বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে আনন্দ মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৪৮৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের পর সিআরবিকে নিয়ে লেখা প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, অসীম দাশগুপ্ত ও নারায়ণ দাশ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই- তিনি চট্টগ্রামবাসীর আবেগের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে সিআরবি থেকে হাসপাতাল সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস ভবিষ্যতেও চট্টগ্রামের এই সবুজ প্রকৃতি সিআরবি রক্ষা করার জন্য তিনি আরো উদ্যোগী হবেন। পরিবেশ সুরক্ষায় ভ‚মিকার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে বিশ্বে অন্যতম পরিবেশবাদী নেতা হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দেড় বছরের কাছাকাছি ধরে সিআরবিকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন করে আসছে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম ও চট্টলার সাধারণ আপামর জনতা। প্রগতিশীল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, যুব আর ছাত্রনেতা, তারুণ্যের হাতধরে গড়ে উঠা নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম আন্দোলন চালিয়ে নিয়েছে বিরতিহীনভাবে। যা একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। এমনকি ঈদ, পূজা-পার্বণসহ উৎসবের দিনও চলেছে। আন্দোলন ইতিহাসে এমন দীর্ঘ লম্বা আন্দোলন নজিরবিহীন। টানা ৪৮২ দিনের আন্দোলন প্রতিক‚ল আবহাওয়া, রোদ, বৃষ্টি কোনো কিছুই থামাতে পারেনি। নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম অনেক সহকর্মী তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে এ আন্দোলনে প্রতিদিন উপস্থিত হয়েছেন তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আর চট্টগ্রামের সিংহভাগ সমাজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক সংগঠন এ আন্দোলনে সম্মতি জানিয়ে এ আন্দোলনে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। সাংবাদিক ভাইয়েদের কাছ থেকে আমরা যে পরিমাণ সাপোর্ট পেয়েছি তা বলার বাইরে তাদের প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা। আর যারা আমাদের আন্দোলনের মূলশক্তি চট্টলার সাধারণ জনগণ ছাত্র, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা, শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর, সমাজিক সংগঠনন সর্বপরি সকল শ্রেণি পেশার মানুষ আপনারাই এ আন্দোলনের গতিপথ দেখিয়েছেন আপনাদেরই প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাইফুদ্দিন মাহমুদ খান, কায়সারুল আলম, সৈয়দ মোসলেহ উদ্দিন মানিক, অজয় চক্রবর্তী, রনি দাশ, কথা চৌধুরী, জুলি, শাহীন রহমান, সীমা সেন, প্রেম লাল, ঐশী ভট্টাচার্য, অসীম দাশ ও হাসান জাহাঙ্গীর।
কবিতা পাঠ করেন কবি আবু মুসা চৌধুরী, উৎপল কান্তি বড়–য়া, মোদাচ্ছের আলী, মিনু মিত্র, বিপ্লব কুমার সেন, আবৃত্তি করেন তৈয়বা জহির আরশি, শ্রæতিনাটক করেন মঈন উদ্দিন কোহেল ও ইলমা আইলিন মৃত্তিকা। বাউল গান পরিবেশন করেন ড. হানিফ মিয়া।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবু মোহাম্মদ হাসেম, নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুচ সালাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এইচএম জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, শ্রমিক লীগ নেতা আহাদ, কেন্দ্রীয় জাসদ নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, ঋত্বিক নয়ন, বেলায়েত হোসেন, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুন্না, যুব নেতা হেলাল উদ্দিন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি, শিবু দাশ, সব্যসাচী টিটু, রাহুল দাশ, অ্যাড. রাশেদুল আলম, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, মাহমুদুল করিম, মাইমুন উদ্দিন মামুন প্রমুখ।