সিআরবিতে নয়, নগরীর বাইরে হাসপাতাল নির্মাণ হোক

19

 

বাংলাদেশ রেলওয়ে সিআরবিতে হাসপাতাল ও কলেজ স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে চট্টগ্রামের পরিবেশবাদী সংগঠন এবং সচেতন সব মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। সিআরবি’র শতবর্ষী বৃক্ষ নিধনের আশংকা তাদের। যদিও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃক্ষ কেটে ফেলার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া, নগরবাসী বিকেলে কিংবা অবসর সময়ে বিশুদ্ধ বাতাস ও নির্মল বিনোদনের জন্য এখানে আসেন। অনেকে শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম বিশেষ করে হাঁটাহাঁটি করেন। এতে নগরবাসী উপকৃতই হন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো সিআরবিতে হাসপাতাল ও কলেজ নির্মাণের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলেছেন। তাদের দাবি, যদিও সিআরবির প্রকৃতি বিনষ্ট না করে ও শতবর্ষী বৃক্ষ নিধন ছাড়াই তারা স্থাপনা নির্মাণ করবে। কিন্তু, সিআরবির যেখানেই হাসপাতাল নির্মাণ হোক না কেনো সেখানকার নিত্যদিনের গাড়ি, এম্বুলেন্স চলাচল কিংবা রোগী ও রোগীর স্বজনদের অবস্থানের কারণে একটি কোলাহলপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই এবং এটিই স্বাভাবিক। যে কারণে সিআরবির বর্তমান নির্মল ও দূষণমুক্ত পরিবেশ স্বাভাবিকভাবেই নষ্ট হতে পারে। এমনিতে নগরে খোলা জায়গা সংকুচিত হয়ে আসছে বা নেই বললেই চলে। হাসপাতাল যেমন প্রয়োজন তেমনি পরিবেশ সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত পরিবেশও জরুরি। তাই বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ফুসফুসখ্যাত সিআরবিতে শতবর্ষী বৃক্ষনিধন করে রেলওয়ের প্রস্তাবিত হাসপাতাল ও কলেজ স্থাপন না করে সুবিধামত জায়গায় বা নগরীর বাইরে যে কোন উপযুক্ত স্থানে (হাটহাজারী, রাউজান, রাংগুনিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও হতে পারে) স্বাস্থ্যসেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণ করার দাবি জানাই। পরিবেশ সুরক্ষায় এবং নগরবাসীর মানসিক প্রশান্তির জন্য এই জায়গাটি সংরক্ষণের দায়িত্ব সকলের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। দাবি জানাচ্ছি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার।