সিআইইউতে সু চি’কে উদ্দেশ্য করে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা

37

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র নাম জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুঃস্কর। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৫ বছর গৃহবন্দী থাকায় তিনি যেমন আলোচিত, তেমনি নিজ দেশের নিরীহ রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের কারণে হয়েছেন বিশ্বজুড়ে সমালোচিত।
অনেকেই বলছেন, মমতাময়ী সু চি এখন ক্ষমতার লোভে তার বিবেক বিসর্জন দিয়েছেন। তিনি এখন গণমানুষ নয়, সেনাবাহিনীর নেত্রী। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম নির্যাতন বন্ধ করে তাদের নিজ মাটির বাড়ি ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এবার মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’কে উদ্দেশ্য করে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা আবেগঘন চিঠি নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট ‘চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা’। সম্প্রতি স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস এর অধীনে ইংরেজি বিভাগ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন স্কুল ও বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরে সেখান থেকে ৩ জনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, শারমিন আক্তার রোশনি ও শ্রাবন্তি দাশগুপ্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, এই ধরনের চিঠি লেখার আয়োজন শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল কর্মকান্ড বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ। প্রভাষক নাসিহ উল ওয়াদুদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের প্রধান সার্মেন রড্রি। উপস্থিত ছিলেন সহকারি অধ্যাপক রিফাত তাসনীম, মো. সাইফুর রহমান, লেকচারার শাকিলা মোস্তাক, আশিকুর রহমান, উম্মে হানি পিংকি, মো. রিফাত আহমেদ প্রমুখ। প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, অং সান সু চি’র প্রতি আমাদের কোনো ভালোবাসা নেই।
তিনি যেভাবে সেনাবাহিনী দিয়ে নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় গণহত্যা চালিয়েছেন তাতে তার কঠিন বিচার হওয়া উচিত। শারমিন আক্তার রোশনি নামের অপর বিজয়ী বলেন, সু চি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। ক্ষমতার লোভে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছে। বিবেকের আদালত বিচারের বড় আদালত বলে এই সময় মন্তব্য করেন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়া অপর ছাত্রী শ্রাবন্তি দাশগুপ্ত। খবর বিজ্ঞপ্তির