‘সাড়ে ৩ লাখ টাকার আশায় হত্যার পর মিলেছে সাড়ে ৩ হাজার’

31

পটিয়ার একটি হোটেলের ড্রাম থেকে এক পান দোকানির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই হোটেলের একজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার লক্ষীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ থানার দত্তপাড়া এলাকা থেকে মো. শাওন ওরফে সাগরকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ জানান।
গত ২১ এপ্রিল রাতে পটিয়া উপজেলার কালারপুল এলাকার আজিজিয়া হোটেল থেকে স্থানীয় পান দোকানি আব্দুল কাদেরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে হত্যা করে লাশ ড্রামের ভেতর রেখে দেওয়া হয়েছিল।
উপজেলার জিরি ইউনিয়নে কাদেরের বাড়ি হলেও তিনি কালারপুল এলাকায় পানের দোকান করতেন। রাতে আজিজিয়া হোটেলেই ঘুমাতেন।
র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক আজিজ জানান, এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় কাদেরের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এরপর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করেন তারা। তদন্তে এ হত্যাকান্ডের সাথে আজিজিয়া হোটেলের কর্মচারী শাওন ও আরেকজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষীপুরের দত্তপাড়া থেকে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকান্ডের পর সে লক্ষীপুরে তার বাড়িতে চলে যায়।
এএসপি তারেক আজিজ জানান, ‘পান দোকানি কাদেরের স্বচ্ছল জীবনযাপন দেখে গ্রেপ্তার শাওন ও তার ওই সহযোগীর ধারণা ছিল তার (কাদের) কাছে অনেক টাকা আছে। তাকে হত্যা করতে পারলে সাড়ে তিন লাখ টাকা পাওয়া যাবে। এর আগেও একবার রশি ও চাপাতি নিয়ে কাদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল শাওন ও তার সহযোগী। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি। ২১ এপ্রিল দুপুরে হোটেলের টেবিলে কাদের ঘুমানোর সময় শাওন ও তার সহযোগী কাদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় কাদের চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাকে টেবিলের ওপর থেকে ফেলে মুখে মারতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মুখ থেঁতলে দেয়। পরে কাদেরের মৃত্যু নিশ্চিত করে গলায় রশি পেঁচিয়ে ড্রামের ভেতর লাশ ঢুকিয়ে রাখে। কাদেরের কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকা পাওয়ার আশায় তাকে হত্যা করা হলেও মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা পায় হত্যাকারীরা’। খবর বিডিনিউজের
হত্যাকান্ডে জড়িত অপর ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি র‌্যাব কর্মকর্তারা। তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলে তারেক আজিজ জানিয়েছেন।