সাড়া জাগিয়ে শেষ হলো কর্ণফুলী সাংস্কৃতিক উৎসব

24

কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার আহবান জানিয়ে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হলো ৬ দিনব্যাপী কর্ণফুলী সাংস্কৃতিক উৎসব। সংস্কৃতির প্রায় সবগুলো মাধ্যমকে একত্রিত করে চট্টগ্রামের শতাধিক সংগঠনের সহস্রাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ উৎসব বেশ সাড়া ফেলেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
গতকাল বুধবার ছিলো উৎসবের সমাপনী দিন। এদিন মুক্তমঞ্চে ছিলো উৎসব প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন এবং সমাপনী কথামালা। এ পর্বে কর্ণফুলী সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পর্ষদের আহব্বায়ক সাইফুল আলম বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক রাশেদ রউফ এবং চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সভাপতি খালেদ হেলাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব মো. মুজাহিদুল ইসলাম। উৎসব প্রকাশনাটি সম্পাদনা করেন নাট্যজন কাজল সেন।
সমাপনী দিনে মুক্তমঞ্চের সংস্কৃতিক আয়োজনে আবৃত্তিশিল্পী শামীমা ইয়াসমিন মুন্নীর উপস্থাপনায় দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সারগাম। বৃন্দ আবৃত্তি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ এবং নরেণ আবৃত্তি একাডেমি। দলীয় নৃত্যে ছিল জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং সুরাঙ্গন। একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী শান্তা গুহ, লুপর্ণা মুৎসুদ্দী, আলমগীর আলাউদ্দিন, কায়সার উল আলম, শীলা চৌধুরী, শামসুল হায়দাফ তুষার, লোকমান রাশু ও জামাল উদ্দিন। একক আবৃত্তি করেন নিশাত হাসিনা শিরিন, মোহাম্মদ সেলিম ভূইয়া এবং ঐশী পাল।
শিল্পকলার মূল মিলনায়তনে পরিবেশিত হয় নাসরীন মুস্তাফার রচনা, কাজল সেনের সম্পাদনা ও আকবর রেজার নির্দেশনায় অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায় প্রযোজিত নাটক ‘কুটে কাহার’।
আবৃত্তিশিল্পী বর্ষা চৌধুরীর সঞ্চালনায় গ্যালারি হলে ছিলো দেশের নন্দিত ছড়াকারদের অংশগ্রহণে ছড়াপাঠ। এতে সভাপতিত্ব করেন শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। উদ্বোধন করেন ছড়াকার দীপক বড়ুয়া। আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, উৎপলকান্তি বড়ুয়া, এমরান চৌধুরী, জসীম মেহবুব, বিপুল বড়ুয়া, শুকলাল দাশ।
অনুষ্ঠানে ছড়াপাঠ করেন অপু চৌধুরী, অপু বড়ুয়া, অমিত বড়ুয়া, আইউব সৈয়দ, আখতারুল ইসলাম, আজিজ রাহমান, আনোয়ারুল হক নূরী, আবু তসলিম, আবু তালেব বেলাল, আবুল কালাম বেলাল, আমানউদ্দিন আবদুল্লাহ, আলেক্স আলীম, আহমেদ মনসুর, ইসমাইল জসীম, এয়াকুব সৈয়দ, ওবায়দুল সমীর, কল্যাণ বড়ুয়া, কাজী নাজরিন, কাঞ্চনা চক্রবর্তী, কানিজ ফাতিমা, কাসেম আলী রানা, কেশব জিপসী, কোহিনুর আকতার, খালেছা খানম, গোফরান উদ্দীন টিটু, গৌতম কানুনগো, জসিম উদ্দিন খান, জেবুন্নেসা জেবু, জি এম জহির উদ্দীন, জুবাইর জসীম, টুম্পা ভট্টাচার্য, তরুণ কান্তি বড়ুয়া, তসলিম খাঁ, তালুকদার হালিম, নাটু বিকাশ বড়ুয়া, নান্টু কুমার দাশ, নান্টু বড়ুয়া, নিশাত হাসিনা শিরিন, নূরনাহার নিপা, প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদ্যোত কুমার বড়ুয়া, পিংকু দাশ, প্রতিমা দাশ, ফারজানা রহমান শিমু, বনশ্রী বড়ুয়া, বাসুদেব খাস্তগীর, বিচিত্রা সেন, বিভা ইন্দু, বিলাস কান্তি দাস, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, মাহবুবুল হাসান, মর্জিনা আখতার, মাহবুবা চৌধুরী, মাহবুবা ছন্দা, মিজানুর রহমান শামীম, মিতা পোদ্দার, মিলন বনিক, রফিক আহমদ খান, রাজন বড়ুয়া, রাসু বড়ুয়া, রুনা তাসমিনা, রাজীব রাহুল, লিটন কুমার চৌধুরী, লিপি বড়ুয়া, শর্মি বড়ুয়া, শওকত আলী সুজন, শামীম ফাতেমা মুন্নী, শিউলী নাথ, শিপ্রা দাশ, শিরিন আফরোজ, শেখ মঈনুল হক চৌধুরী জোসেফ, সনজিত দে, সাইফুদ্দিন সাকিব, সংযুক্তা চৌধুরী বড়ুয়া, সাইফুল্লাহ কায়সার, সালাম সৌরভ, সুবর্ণা দাশ মুনমুন, সুসেন কান্তি দাশ, শেলীনা আকতার খানম, শৈবাল বড়ুয়া, সনজীব বড়ুয়া, সুমি দাশ, সিমলা চৌধুরী, সোমা মুৎসুদ্দী, সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার, সৈয়দ জিয়াউদ্দিন, সৈয়দা সেলিমা আক্তার, সৌভিক চৌধুরী, সৌরভ শাখাওয়াত, হেলাল চৌধুরী, হোসাইন মোস্তফা।
এছাড়া উৎসবের অংশ হিসেবে শিল্পকলা গ্যালারি ভবনের দ্বিতীয় তলায় চারুকলা প্রদর্শনী ও তৃতীয় তলায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় এবং শিল্পকলা প্রাঙ্গণজুড়ে বইমেলায় অংশ নেয় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, কালধারা, বলাকা, শৈলী, খড়িমাটি ও তৃতীয় চোখ। উৎসব সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ইস্পাহানী লিমিটেড। বিজ্ঞপ্তি