সার্কিট হাউজে ব্যক্তির নামে জাদুঘর নয়

22

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ ইতিহাস-ঐতিহ্যের হীরক খন্ড। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এখানে হানাদার বাহিনীর টর্চার সেলে শহীদ হয়েছেন অনেক কৃতী বাঙালি। হানাদার মুক্ত চট্টগ্রামে এই সার্কিট হাউজে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর রফিকুল ইসলাম সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন। অনেকগুলো ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই সার্কিট হাউজে একজন জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছেন বলে তার নামে জাদুঘর হলেও এটা গোডাউন ও ইতিহাস বিকৃতির ঠিকানা। ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই এই নামে জাদুঘর হতে পারে না।
গতকাল শনিবার সকালে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষের বাসভবনে তাঁর সহায়তায় অসহায় পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিও এখন সেখানে যায় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পুরাতন সার্কিট হাউজ জিয়ার নামে দখলে রেখেছে। সেখানে জিয়ার কিছু নেই। জায়গাটি অবরুদ্ধ গোডাউনে পরিণত করেছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘর করার প্রস্তাব করেছি। ঢাকায়ও তারা একটা জায়গা দখলে রেখেছিল, সেটি উদ্ধার হয়েছে। সার্কিট হাউজের সামনে খোলা প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সূচনা হয়েছিলো। বিএনপি সরকার এখানে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে শিশু পার্ক তৈরি করে সার্কিট হাউজের নান্দনিক রূপ হানি করেছে। তাই এই পার্ক সরিয়ে ফেলতে আমি সংসদ সদস্য হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। তিনি এ ব্যাপারে মেয়রকে উদ্যোগী হবার অনুরোধ জানান।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সার্কিট হাউজের নান্দনিক সৌন্দর্য রক্ষায় শিশু পার্কটি সরিয়ে ফেলা উচিত এবং বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে মন্তব্য করে বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃতির যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে সার্কিট হাউজের সামনে পার্ক নির্মাণ তারই একটি অংশ। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে উদ্যোগী। তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও হত্যার সামিল। কিন্তু ঘাতকদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি তারা গণদুশমন।
ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্বপন কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হোসেন বাচ্চুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চউক চেয়ারম্যাম এম.জহিরুল আলম দোভাষ, ২২ মহল্লা কমিটির সভাপতি ইউসুফ সর্দ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী।