সাম্প্রদায়িক হামলা পুরোটাই সরকারি মদদে

26

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সরকারের ‘অবৈধ বাহিনী’ সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর মদদ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় এসে, বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। মাঝে-মধ্যে সরকারের সংকটগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটান। আমরা স্টেটমেন্ট দিয়েছি, নিন্দা জানিয়েছি। দাবি করছি অবিলম্বে অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।
ফখরুল বলেন, বিএনপি সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হাজার বছরের। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করছি, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে। রামু, নাসিরনগরের ঘটনা দেখেছি। সরকারের কোন মহলের ইঙ্গিতে, তাদের মদদে এসব ঘটানো হয়। যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করে। আমরা বিএনপি সমসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। আমাদের সময় এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলা চলে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করার আগে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন সংলগ্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় ও মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল।
দুইদিনের সফরে চট্টগ্রামে এসেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আজ শনিবার বিকাল তিনটায় কাজীর দেউড়িস্থ টাইম স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।
গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশকে উন্নত করার জন্য তাঁর বহু অবদান রয়েছে। সেই নেত্রীকে আজকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরনো রোগে গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখার কারণে চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর পুরনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আবুল মান্নান, মহানগর আহব্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সালাউদ্দীন, নুরুল আমিন, অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, আওয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. সেলিম চেয়ারম্যন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, অধ্যাপক মো. মহসিন, কাজী সালাহ উদ্দিন, আবু আহমদ হাসনাত, জাকের হোসেন, দক্ষিণ জেলা আহব্বায়ক কমিটির সদস্য জামাল হোসেন, নুরুল কবির, লায়ন হেলাল উদ্দিন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, জাহিদুল হাসান, নূর হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, শরিফ উদ্দিন খান, হাবিবুর রহমান, আব্দ্লু কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মৎস্যজীবী দলের আহব্বায়ক হাজী নুরুল হক, তাঁতীদলের আহব্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, নগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফ উদ্দিন তুহিন প্রমুখ।