সাম্প্রদায়িক সহিংসতাবিরোধী শোভাযাত্রা ও পথসভা

13

 

গত ২৬ নভেম্বর বিকালে চট্টগ্রামের প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে দেশের চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরূদ্ধে এবং উদীয়মান পাকিস্তানীমনা দালালদের প্রতিহত করতে এক জনসচেতনতা মূলক র‌্যালী ও পথসভার আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ। উক্ত পথসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কপিল কৃষ্ণ মন্ডল। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি সুবীর সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত নাথ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন¦য়ক রুপক দেবনাথ, চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক পুলক চৌধুরী, যুগ্ম সমন্বয়ক সুজন দেব নাথ, কোতোয়ালী থানা সভাপতি মিহির কান্তি সিংহ, সাধারণ সম্পাদক শুভদীপ চক্রবর্তী সহ ভিএইচপি চট্টগ্রামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় প্রধান বক্তা বলেন আন্তর্জাতিক জঙ্গীবাদের মদদ পুষ্ট সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বাংলাদেশে দিন দিন যেভাবে বেড়ে চলেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তান এই জঙ্গিবাদের লালন ও পালন কর্তা। ৯/১১ এ আমেরিকায় টুইন টাওয়ার হামলা, ব্রিটেনে ক্রীড়া অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, ভারতে সংসদ ভবনে হামলা, ২৬/১১ মুম্বাইয়ে সিরিজ হামলা, পুলওয়ামা হামলা সহ পৃথিবীতে প্রায় প্রত্যেকটি হামলার পেছনে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততা প্রমাণিত। সম্প্রতি আফগানিস্থানে তালিবানী শাসন তৈরী করা সহ বিশ^ সন্ত্রাসে সরাসরি মদদ দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশও জন্মলগ্ন থেকেই এই সন্ত্রাসবাদের ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের শিকার। যার ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ক্রিকেট অনুশীলনের সময় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি পতাকা তুলে পাকিস্তান এই বাংলার মাটিতে তাদের দৃঢ় অবস্থানের জানান দেয়। যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের অপমান, স্বাধীনতার অপমান। এই ঘটনার মাধ্যমে পাকিস্তান আমাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তারা আরো বড় ও ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে একাত্তরে পরাজিত রাজাকার, আল বদরের উত্তরসূরীরা। যারা অতীতে ২০০৩ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারী একত্রে ৭ টি বোমা ‘বিস্ফোরন, ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট দেশের ৫০টি শহরের ৩০০ টি স্থানে একযোগে ৫০০ সিরিজ বোমা হামলা, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজেনে জঙ্গি হামলা সহ হাজারো হামলা ঘটিয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল এবং এদের প্রতিহত করতে শতভাগ আন্তরিক। তিনি জঙ্গিমুক্ত দেশ গঠন করার জন্য প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকা ব্যায়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে সেই পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা দেশ প্রেমিকের মুখোশ পড়ে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। এদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা এবং এর পিছনে আর্থিক ও যাবতীয় মদদ বন্ধ করতে না পারলে পুরোপুরি সন্ত্রাস নির্মূল অসম্ভব। ২০১৫ সালে ২ বার পাকিস্তান হাই কমিশনারের কর্মকর্তা দ্বারা জঙ্গিবাদে অর্থ সহযোগীতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশে পাকিস্তানের দূতাবাস বন্ধ করা এবং পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি প্রদান করতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানাই। কারণ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি পাকিস্তান যতদিন পর্যন্ত সন্ত্রাসে রাষ্ট্রীয় মদদ দিবে ততদিন বাংলাদেশ তো বটেই সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়া অসম্ভব। বিজ্ঞপ্তি