সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টে স্বাধীনতা বিরোধীরাই

19

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা বিরোধিতা করেছে, আজো তারা বিরোধিতা করে চলছে। বঙ্গবন্ধু তাদের মধ্যে বিশেষ কিছু ছাড়া বাকিদের সাধারণ ক্ষমা করেছেন। তাদের কেউ কেউ এসব সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাচ্ছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠান’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্ট গেনেড হামলা থেকে শুরু করে প্রতিটি সময় তারা (স্বাধীনতাবিরোধীরা) সুযোগ বুঝে এগুলো করে। ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসংযোগ, হামলা থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করে নাই।
প্রতিবছর একটা না একটা ঘটনা তারা ঘটায়। এবার দীর্ঘদিন ধরে এমন কিছু হয় নাই। প্রশাসনও মনে করেছে এমন কিছু হবে না। শান্তির ধর্ম ইসলাম, দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত যার কারণে কিছু হবে না। যার কারণে কিছুটা শীতিলতা ছিল। সে সুযোগে এমন ঘটনা ঘটালো।
আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না জানিয়ে ফরিদুল হক খান বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় যে লোক জড়িত সে মাদকাসক্ত। তাকে কেউ না কেউ পবিত্র কোরআন হাতে তুলে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা করেছে তারা কোন ধর্মের লোক না। যারা করেছে তারা পরাজিত শক্তির কেউ। ২ বছর পর নির্বাচন। নির্বাচন আসলে তারা এসব করে। তিনি বলেন, অপশক্তি চায় না দেশ এগিয়ে যাক। তার চায় উন্নয়নের অগ্রযাত্রা কিভাবে রুদ্ধ করা যায়। তারা এসব করছে যেন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করতে না পারে। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিচার হতে হবে। জনগণ, আওয়ামী লীগ, প্রশাসনকে সাথে নিয়ে এদের প্রতিরোধ করতে হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনার উৎপত্তি হয়। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসাবে এটি প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর সংবিধান রচনা করেন। আজীবন এরমধ্যে একটি কথা ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। কিন্তু বিভিন্ন সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। বঙ্গবন্ধুর সংবিধান অটুট রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধ পরিকর।
তিনি বলেন, বিধর্মীদের সেবা করা, পাশে থাকার শিক্ষা দিয়েছেন রাসুল (স.)। বিদায় হজ্বের ভাষণে রাসুল (স.) বলেছেন, তোমরা অন্য ধর্মের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না, অতীতে অনেক জাতি এ কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। রাসুল (স.) অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলেছেন। আজকে যারা বিশৃঙ্খলাকারী তারা মানুষ না। তারা ইসলাম ধর্মের না, হিন্দু ধর্মের না, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান ধর্মের না। মানবজাতিতে তারা পড়ে না। মানবজাতিকে আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ট জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ হয়ে অমানুষের কাজ কোন ধর্মের মধ্যে পড়ে না।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামসহ সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ।