সামরিক মহড়ার সাফাই দিল চীন পাল্টা হুঁশিয়ারি তাইওয়ানের

0

 

তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া চালানোকে ‘ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ’ বলে সাফাই গেয়েছে চীন। ওদিকে, তাইওয়ানও বেশি কাছে না ঘেঁষার ব্যাপারে চীনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বুধবার চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয় বলেছে, তাইওয়ানের কাছে চীনের সামরিক মহড়া দ্বীপটির স্বাধীনতার পক্ষে থাকা বহিঃশক্তিকে মোকাবেলা করা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি “ন্যায়সঙ্গত” পদক্ষেপ। বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ঠেকানো এ মহড়ার লক্ষ্য। এর পরপরই চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনা বাহিনী দ্বীপদেশ তাইওয়ানের বেশি কাছে ঘেঁষলে কড়া পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। তাইওয়ান নিজেদেরকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করলেও চীন দ্বীপটিকে দেখে নিজেদের ‘বিচ্ছিন্ন প্রদেশ’ হিসেবে।
পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং। কিছুদিন আগেই চীন তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে রেকর্ড সংখ্যক জঙ্গি বিমান পাঠিয়েছে; তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করতেই এসব বিমান পাঠানো হয় বলে ধারণা অনেক পর্যবেক্ষকের। কিন্তু জঙ্গি বিমান অনুপ্রবেশ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন দু’দিন আগেই বলেছেন, তারা বেইজিংয়ের চাপে নত হবেন না। “চীন যে পথ ঠিক করে দিয়েছে, তাইওয়ানকে তা মেনে নিতে বাধ্য করা যাবে না। বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত পথে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব নেই,” বলেও মন্তব্য করেন সাই। এর আগে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং বলেছিলেন, ৪০ বছরের মধ্যে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সামরিক উত্তেজনা সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দ্বীপদেশ তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে (এআইডিজেড) চীনের রেকর্ড সংখ্যক যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের পর দু’পক্ষের মধ্যে দুর্ঘটনাবশত হামলা হওয়ার ঝুঁকি আছে বলে সতর্ক করেন তিনি। তাছাড়া, চীন ২০২৫ সালের মধ্যে তাইওয়ানে পুরোদস্তুর আগ্রাসন চালাতে সক্ষম বলেও সতর্ক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ। বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক বক্তব্যে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র মা সিয়াওগুয়াং বলেছেন, তাইওয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণ হচ্ছে, বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে দ্বীপটির ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) আঁতাত এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতা লাভের উস্কানি।