সাত প্রতিষ্ঠানকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

37

অননুমোদিত ফ্লেভার, আয়োডিনবিহীন খোলা লবণ, কৃত্রিম রং দেয়া, বাসি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল নগরীর চারটি থানা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযানে এক লক্ষ ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত নগরীর ইপিজেড থানায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় রোজী হোটেলকে বাসি খাবার নোংরা ও খোলা অবস্থায় রাখায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ইপিজেড মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রোজ ফ্লেভার রেস্টুরেন্টকে বাসি খাবার, পোড়া তেল ব্যবহার, নোংরা ও খোলা অবস্থায় খাবার রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাসি খাবার ধ্বংস করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ফারহান ফার্মেসিকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা ও মেয়াদোত্তীর্ণ কাটা ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
কার্যালয়ের অপর সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস নগরীর ডবলমুরিং ও খুলশি থানায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সঙ্গে খোলা অবস্থায় সস, রান্না করা ও অর্ধরান্না করা খাবার সংরক্ষণ করায় বাঙ্গালীয়ানা রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাসি খাবার ধ্বংস করা হয়। কাজির দেউড়ি শিশু পার্কের খাবারের সকল দোকান পরিদর্শন করে প্রকাশ্যে মূল্যতালিকা টানাতে পুনরায় নিদের্শনা দেয়া হয়। এসময় বাসি চিকেন সংরক্ষণ করায় কিডস কার্নেলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
এদিকে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বন্দর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে মুসলিম বেকার্সকে আয়োডিন বিহীন খোলা লবণ ব্যবহার, কৃত্রিম রং দেয়া করমচা ব্যবহার, উৎপাদিত খাবার মেঝেতে প্রক্রিয়া করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রায় ২০ কিলোগ্রাম লবণ ও রং দেয়া করমচা ধ্বংস করা হয়। কেবি দোভাষ লেইনের রহমানীয়া বেকারিকে উৎপাদিত পণ্যের গায়ে উৎপাদন মেয়াদ না দেয়ায় ৫ হাজার টাকা এবং নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।