সাত দোকানকে ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা

9

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেছেন, সাধারণ ক্রেতাদের ঠকানোর জন্য অসদুপায়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। পাইকারি এবং খুচরা বাজারে মনিটরিংয়ের পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর চৌমুহনী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্বিতীয় দিনের মতো খুচরা বাজারগুলোতে অভিযান চালান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার ও মাসুদ রানা। এ সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে সাতটি দোকানকে ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১৫ টাকা বেশি বিক্রি করায় তাদের এ জরিমানা করা হয় বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযান শেষে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করতে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ম্যাজিট্রেট। পরে সেখানকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নগরীর পাহাড়তলী বাজারে অভিযান চালানো হয়। এর আগে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার দেশের বৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযানে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে পেঁয়াজের বিপুল সরবরাহ রয়েছে। এরপরও আমদানি ক্রয়ের চাইতে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ২টি আড়তকে চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও বিভিন্ন আড়তে পেঁয়াজ বিক্রির দর নির্ধারণ করে দেন জেলা প্রশাসন। নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনে খুচরা বাজারে অভিযানে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ টিম।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা পূর্বদেশকে বলেন, দ্বিতীয় দিনের অভিযানে খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের কোন সংকট দেখিনি। বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর আগের দিন খাতুনগঞ্জে পাইকারী আড়তদারদের মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ভারতের পেঁয়াজ কেজিতে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দর নির্ধারণ করে দিলেও খুচরা বাজারে তার কোন প্রভাব দেখা যায়নি। বরং বিভিন্ন দোকানে মঙ্গলবারের মূল্য তালিকায় ভারতীয় পেঁয়াজ ৮২ থেকে ৮৩ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজিতে। তাই বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে সাতটি দোকানকে ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। খুচরা বাজারের প্রতিটি দোকানের পাইকারি রশিদ সংগ্রহ করে ছবি তুলে নিয়েছি। এছাড়া খুচরা বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যসূত্রে পাইকারি বাজারে ফের অভিযানের আশ্বাস দেন এ ম্যাজিস্ট্রেট।