চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার দায়ে গত ৯ জানুয়ারি ১৭ ছাত্রলীগকর্মীসহ মোট ১৮ জনকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। কিন্তু বহিষ্কারের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বিভাগগুলোতে বহিষ্কারের চিঠি পৌঁছেনি। যার কারণে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। গতকাল সোমবার সংস্কৃত বিভাগের ৪০৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখা গেছে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রæপ বিজয়ের কর্মী অনিক দাসকে। কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২২৫ নম্বর কক্ষে তাকে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে বিভাগটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাজপতি দাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে তার বহিষ্কারের ব্যাপারে আমরা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির কোনো চিঠি বা নোটিশ পাইনি। তাই আমরা তাকে পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেকজন একসাথে বহিষ্কার হওয়াতে চিঠিগুলো পাঠাতে একটু সময় লাগছে। তবে বিষয়টি প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে চিঠিগুলো পাঠিয়ে দেব।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও গত বুধবার পরীক্ষা দিয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রæপ সিক্সটি নাইনের কর্মী মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস ও একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রæপ বিজয়ের কর্মী নাহিদুল ইসলাম।