কাল বৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন সাতকানিয়ার কৃষকেরা। যথাসময়ে সেচ ও সার নিশ্চিত হওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে। ধান এখনো পুরোপুরি না পাকলেও কাল বৈশাখী ঝড় আতংকে অনেকটা আগেভাগেই ধান কাটা শুরু করা হয়। কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় কৃষকরা নিজেরাই ধান কাটা শুরু করে দেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সরেজমিনে পরিদর্শনকালে কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেছেন, এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামি সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধানকাটা শুরু হয়ে যাবে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শম্ভু নাথ দেব জানান, সাতকানিয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হজার ৫২০ হেক্টর। মোট আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার ১৮০ হেক্টর বেশি। তার মধ্যে হাইব্রিড ২ হাজার ৪১০ হেক্টর ও উফসী ৪ হাজার ২৯০ হেক্টর। সবকিছু ঠিক থাকলে মোট ২৭ হাজার ৩২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা।
সরেজমিনে পরির্দশনকালে নলুয়া ইউনিয়নের মরফলা এলাকায় দেখা যায়, কৃষকেরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। আর কেউ ধান কাটতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কৃষক ইয়াকুব আলী বলেন, এবার ফলন খুবই ভালো হয়েছে। এভাবে ফলন হলে বোরো চাষে কৃষকেরা আরো বেশি বোরো উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠবে। পরিপূর্ণভাবে না পাকলেও কেন ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ঐ কৃষক জানান, ইতোমধ্যে ২ বার কাল বৈশাখী ঝড় হয়েছে। এই ঝড়ে কিছু ধানের ক্ষতি হয়ে গেছে। ক্ষতির আশঙ্কা থাকায় তাড়াতাড়ি ধান ঘরে তুলে নিচ্ছি। সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকট রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাতকানিয়ার বোরো চাষ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, গত কয়েক দিন থেকে সাতকানিয়ার কিছু কিছু এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধানকাটা ও মাড়াই শুরু হবে। সঠিক সময়ে সেচ ও সার নিশ্চিত হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি জমিতে বোরো চাষ ও বাম্পার ফলনের কারণে কৃষকরা ভালো লাভবান হবে। ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।