সাতকানিয়ায় পানিবন্দী ২০ হাজার মানুষ

34

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সাতকানিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের একাধিক স্থান পানিতে ডুবে গেছে। পানি ডিঙ্গিয়ে কোন রকমে যানবাহন চলাচল করলেও পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোন মুহুর্তে বান্দরবানের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। সরেজমিনে ও একাধিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে এসব চিত্র পাওয়া গেছে।
জানা যায়, উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শঙ্খ নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত বুধবার রাত থেকে বাজালিয়া মোটর স্টেশনস্থ মসজিদের পাশ দিয়ে বাঁধ উপচে পানির স্রোত লোকালয়ে চলে আসে।
ইউপি সদস্য সামশুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত থেকে বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পানি কমতে শুরু করে। ফলে বাজালিয়া ইউনিয়নের মাহালিয়া এলাকা ও দস্তিদার হাটের পূর্ব পাশে গ্রীন টাচ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যে কোন সময় ঐ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ সড়কের উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হওয়ায় ঐ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ আহমদ লিটন জানান, অপরিকল্পিতভাবে রেললাইন তৈরি করায় পৌরসভার গোয়াজর পাড়া, আশেকের পাড়া ও ইছামতিকুল এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কেওচিয়া, বাজালিয়া ও পুরানগড় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এওচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক জানান, তার ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের অন্তত দুইহাজার রয়েছে পানিবন্দী অবস্থায়। চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. রেজাউল করিম জানান, চরতি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় হাজারো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও নলুয়া ইউনিয়নের বিল্লা পাড়া, মরফলা, মরিচ্যা পাড়ার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের আশংকা থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থারতদের সরিয়ে নেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনজুমান আরা বেগম বলেন, গতকাল অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় একাধিক চেয়ারম্যান বন্যায় মানুষ পানিবন্দী হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।