সাতকানিয়ায় আরও ৫ ঘর লকডাউন

34

বিশ্ব কাঁপানো করোনা ভাইরাস সন্দেহে সাতকানিয়ায় আরও ৫টি ঘর লকডাউন করেছে প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-এ আলমের নেতৃত্বে সোনাকানিয়া ইউনিয়নে এ লকডাউনের ঘটনা ঘটে। ইউএনও নুর-এ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাতকানিয়া আদালতের সিনিয়র আইনজীবী হাফিজুল ইসলাম মানিক জানান, সাতকানিয়ার সোনকানিয়া ইউনিয়নের ফকির মোহাম্মদ পাড়ার এক বাসিন্দা গেঞ্জির ফ্যাক্টরি করেন নারায়নগঞ্জে। তিনি বিয়ে উপলক্ষে গত ২০ মার্চ বাড়িতে আসেন আর পরের দিন চলে যান। তিনি সম্প্রতি ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে যান।
তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সোনাকানিয়া ইউনিয়নের আশারতলী (ছয়ার পাড়া) গ্রামের তিন যুবক। তারা ঘরে এসেছেন। আবার অন্য দুই ঘরে আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তি নিজেই যাতায়াত করেছেন। ফলে তথ্যানুসন্ধানের পর এ পাঁচটি ঘর লকডাউন করে দেয় প্রশাসন।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-এ আলম বলেন, ঢাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি একজন ব্যবসায়ী। তার দোকানে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের তিন যুবক কাজ করেন। তারা সম্প্রতি ঘরে এসেছেন। এর বাইরেও আইসোলেশনে থাকা ব্যাক্তি নিজেই অপর ২টি ঘরে যাতায়াত করেন। ফলে আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এ ৫টি ঘর লকডাউন করে দিয়েছিল এসব ঘরের কোন বাসিন্দা ঘরের বাইরে যাতে না যেতে পারে। আবার অন্য কেহ যেন ঐ বাড়িতে যাতায়াত করতে না পারে, সেজন্য বাসিন্দাদের সর্তক করা ছাড়াও কড়া পাহারা রেখেছি। এসময় সোনাকানিয়ার চেয়ারম্যান নুর আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে সৌদি ফেরত চট্টগ্রামে সনাক্তকৃত প্রথম করোনা রোগীর বেয়াইন ও বেয়াইনকে দেখতে যাওয়া বেশ কয়েকজন নিকটাত্মীয়ের বাড়ি মিলিয়ে পুরানগড় ১২টি ও সাতকানিয়া পৌরসদরে ১টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।