সাতকানিয়ার চুড়ামণিতে মোটরবাইক আটকিয়ে ডাকাতি

18

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

সাতকানিয়ায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির শিকার মোটরসাইকেল আরোহীরা হলেন সাজ্জাদ হোসেন শাকিল, তৌহিদুল ইসলাম ও মো. মারুফ। তারা তিন বন্ধু। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শওকত ওসমান ওরফে লিটন (৩০) নামে একজনকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সাতকানিয়ার কেরানীহাট-বাঁশখালী সড়কের চুড়ামণি কাঁঠালতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতির শিকার মোটরসাইকেল আরোহীরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাকিল, তৌহিদ ও মারুফ কেরানীহাট-বাঁশখালী সড়কের চুড়ামণি হয়ে ছনখোলার দিকে যাচ্ছিলেন। তারা কাঁঠালতল এলাকায় পৌঁছলে কয়েকজন ডাকাত তাদের মোটরসাইকেল আটকায়। এরপর ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখায় ও মারধর করে টাকা এবং মোবাইলফোন সেট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তিন বন্ধুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়।
এরপর রাত ৩ টার দিকে স্থানীয় লোকজন চুড়ামণি বাজার এলাকায় অপরিচিত একটি মাইক্রোবাস দেখে আটক করেন। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে গেলেও লিটনকে ধরে গণপিটুনি দেন তারা। এছাড়া মাইক্রোবাসটিও ভাঙচুর করা হয়।
মোটরসাইকেল আরোহী শাকিল বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমাদের মারধর করে এবং নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ, মোবাইলফোন কেড়ে নেয়।
চুডামনি এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, চুড়ামনি কাঁঠালতলে মোটরসাইকেল থামিয়ে ডাকাতির খবরটি এক রিক্শাচালক এসে আমাদের জানান। তখন আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় ডাকাতরা পালিয়ে যায়। আমরা ১০-১২ জন চুড়ামনি পশ্চিমের দোকান এলাকায় অবস্থান করি। এ সময় অপরিচিত একটি মাইক্রোবাস একবার পূর্ব দিকে একবার পশ্চিম দিকে ছুটতে থাকে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা সড়কের উপর বালির বস্তা দিয়ে মাইক্রোবাসটিকে আটক করি। এরপর ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় লিটন নামে একজনকে ধরে ফেলি। লোকজন গণপিটুনি দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। লিটন কক্সবাজারের চকরিয়ার খৈয়ারবিল এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে।
সাতকানিয়া থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, একদল ডাকাত মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধুকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন লিটন নামে এক ব্যক্তিকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাকে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছে। ডাকাতির শিকার তৌহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।