সাগরে ট্রলার ডাকাতির ঘটনায় বাঁশখালী থেকে ৪ জন গ্রেপ্তার

18

নিজস্ব প্রতিবেদক

বরগুনার পাথরঘাটায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার রাতে বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বাঁশখালীর বড়ঘোনা গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে মো. কাইছার ওরফে কালু (২৫), একই এলাকার মৃত আহম্মেদ সাবার ছেলে মো. জাহিদ (২৫), মৃত আলী চানের ছেলে মো. সেলিম (৪০) ও তার ছেলে মো. ইকবাল হোসেন (১৫)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার।
র‌্যাব জানায়, গত ১৭ ফেব্রæয়ারি একটি ট্রলার মাছ ধরতে বরগুনা থেকে বঙ্গোপসাগরে যায়। ট্রলারটিতে ১৮ জন জেলে ছিলেন। রাতে তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করলে নয়জন জেলে প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পর একজন মারা যান। অন্য পাঁচ জেলের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তার কালুর কাছে বরগুনার বোট থেকে ডাকাতি করা একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। যেটি আব্দুল করিম নামে এক জেলের। কালু ও জাহিদ ওইদিন রাতে সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেয়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জেলেদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তিনি বলেন, সেলিম ডাকাতিতে ব্যবহৃত বোটের মালিক। তার ছেলে মো. ইকবাল ডাকাতির সময় বোটে ছিল। ডাকাতদের অস্ত্র ও বোট পাহারার দায়িত্ব ছিল তার। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গত ১০ ফেব্রæয়ারি সমুদ্রে যায় তারা। কক্সবাজার-কুতুবদিয়া চ্যানেলে একটি ডাকাতি করে। পরে বরগুনা-পটুয়াখালি চ্যানেলের দিকে যায়। সেখানেও একটি বোটে ডাকাতি করে বলে স্বীকার করে।