সাগরে অপহরণের তিনদিন পর মুক্ত ৩২ জেলে

15

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার ৩২ জেলে মুক্ত হয়েছে। গতকাল রবিবার ভোরে ফিশিং ট্রলারসহ মুক্তি পেয়ে কুতুবদিয়া উপকূলে ফিরে এসেছে তারা। জলদস্যুরা মুক্তিপণের দাবীতে জেলেদেরকে ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছিল। উপকূলে ফিরেই এসব জেলেরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বাঁশখালী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ইয়ার আলী নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জেলে অপহরণ ও ট্রলার আটকের বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট জানানো হলে জলদস্যুরা টের পেয়ে রবিবার ভোরে মহেশখালী উপক‚লের সোনাদিয়া নামক স্থানে খালে জেলে ও ট্রলার রেখে পালিয়ে যায়। অপহৃত ৩২ জেলে ৪টি ট্রলার নিয়ে সকালে বাঁশখালী উপকূলে ফিরে আসে। কুতুবদিয়া উপক‚লের অপহৃত জেলে ও ট্রলার উপকূলে ফিরে আসে বলে কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন নিশ্চিত করেন।
তবে ট্রলার মালিকরা দাবী করেন, জলদস্যুদের বন্দিশালা থেকে জেলে এবং ট্রলারগুলো ছাড়িয়ে আনতে লাখ টাকার বিনিময় করা হয়। জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের তিনদিন ধরে কোন খাবার দেয়নি। তাদের টার্গেট মোতাবেক টাকা দিতে না পারলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মারধর করে। জলদস্যুরা কুতুবদিয়া, মহেশখালী, বাঁশখালীর বলে দাবী করেন এফবি মায়ের দোয়া-২৪৬ ফিশিং ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর আলম।কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, জলদস্যুদের তান্ডবে সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না। অনেক টাকার পুঁজি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায় জেলেরা। জেলেরা মহাজনের কাছ থেকে দাদন (ঋণ) নিয়ে মৎস্য ব্যবসা পরিচালনা করে। যথাসময়ে মহাজনের পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে জেলেদের এ পেশা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যেতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাগরে জলদস্যুতা কঠোর হস্তে দমনের দাবী করেন।