সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি ও মানসম্মত শিক্ষার জন্য কাজ করছে সরকার

23

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও সরকারের উপ-সচিব মো. বদিউল আলম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঝরেপড়া রোধ, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিকরণ ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে যথেষ্ট আন্তরিক। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে আবারও পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় পূর্বের তুলনায় সাক্ষরতার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত হবে। এজন্য সবাইকে শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে দেশ উন্নত হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ও গণস্বাক্ষর অভিযানের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস ও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট আবৃত্তিকার দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও সরকারের উপ-সচিব মো. বদিউল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. জুলফিকার আমিন। বক্তব্য রাখেন পিটিআই’র সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. জয়নাল আবেদীন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়–য়া, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের থানা প্রোগ্রাম ম্যানেজার চন্দন কুমার বড়–য়া, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী ইয়াসমিন পারভীন, সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আকতার, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প পরিচালক রিংকু কুমার শর্মা, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম’র প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়–য়া, অপরাজেয় বাংলাদেশ’র চট্টগ্রাম জোন ইনচার্জ জিনাত আরা বেগম, বিটা’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার বাপ্পা চৌধুরী, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মার্মা। খবর বিজ্ঞপ্তির