সাকিব যোগ দিচ্ছেন চট্টগ্রাম টেস্টে

10

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি আগামীকাল ১৫ মে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামের সাগরিকা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এরই মধ্যে গত ১০ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা বিশ্ব অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই খবরে প্রথম টেস্টে তার খেলা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। কিন্তু স্বস্তির খবর হচ্ছে, করোনা নেগেটিভ এসেছে সাকিবের। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও প্রথম টেস্টে তিনি খেলতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে-ই চলছে যত জল্পনাকল্পনা। ফিটনেস টেস্ট দিতেই গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব। এরই মধ্যে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন সাকিব চট্টগ্রাম টেস্ট খেলতে চান। তবে সাকিব খেলবে কি খেলবে না এ বিষয়ে বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্য আরো এক ধাপ এগিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, খেলার বিষয়টি নিভর করছে সাকিবের ওপরই।
গতকাল হঠাৎ হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নেমেই সোজা বাংলাদেশ দলের টিম হোটেলে গিয়ে দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এসময় চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব খেলবেন কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জবাবে পাপন পরিস্কার করেছেন এভাবে- সাকিব খেলছে না ধরে নিয়েই এগুচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
কারণ হিসেবে পাপন বলেন, সাকিব খেলবে কী খেলবে না, এটি পুরোপুরি তার ওপর নির্ভর করছে। কারণ এখানে স্বাস্থ্য একটা বড় বিষয়। মাত্রই করোনামুক্ত হওয়া একজনের পক্ষে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট ম্যাচে খেলতে নামা সম্ভব কিনা, সেটিও ভেবে দেখার বিষয় আছে। সাকিবের সাথে যে কথাটা হয়েছে ও নেগেটিভ হলে এখানে আসবে এবং এখানে ব্যাপারটা হচ্ছে ও কিন্তু অনুশীলনে নাই, খেলার মধ্যে নাই। প্লাস ওর ফিজিক্যাল কন্ডিশন, ও বলেছে ও সুস্থ বোধ করছে। কিন্তু এটা পুরোটাই হচ্ছে মেডিকেল ইস্যু। এখানে মেডিকেল টিমের যারা আছে, ফিটনেস ট্রেনার যারা আছেন তারাই ওকে বিচার করবে। সে শুধু কালকে (আজ) একদিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবে। আজকে (গতকাল) যদি এখানে আসতে পারতো তাহলে তাহলে অনুশীলনে জয়েন করতে পারতো।’
তিনি আরো বলেন, এখানে আবেগী হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু করোনা নেগেটিভ হয়ে খেলা, এটা যদি একদিনের ফরম্যাট হতো আমরা বলতাম খেলো। সাকিব হয়তো খেলবে, আবার না-ও খেলতে পারে। কোভিড থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা অনেক কঠিন। খেলাটা তো টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি হলে সহজ হতো।