সাকলায়েনকান্ড তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরের কমিটি

15

চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের সম্পর্কের যে অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। সাকলায়েনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরদিন গতকাল রবিবার পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদ করিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠনের কথা জানা যায়।
পুলিশের ডিআইজি (মিডিয়া) হায়দার আলী বলেন, ‘সিআইডি এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ খবর বিডিনিউজের
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ডিএমপির উপ কমিশনার হালিমা পারভীন এবং সিআইডির রুমানা আকতার। এই কমিটিকে তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাকলায়েন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগে এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে বদলি করা হয়।
পরীমনি এর আগে বোট ক্লাবে তাকে ‘ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগ এনে এক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে গত জুন মাসে যে মামলা করেছিলেন, তার তদন্তে ছিল ডিবি।
পরীমনি গত ৪ অগাস্ট র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই অভিযানের তিন দিন আগে গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাকলায়েনের সরকারি বাসায় ‘প্রায় ১৮ ঘণ্টা সময় কাটান’ পরীমনি।
কয়েকটি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ১ অগাস্ট সকালে পরীমনি নিজের গাড়ি নিয়ে ওই বাসায় যান এবং গভীর রাতে বেরিয়ে আসেন। গাড়ি থেকে নেমে তাদের দুজনের ওই বাসায় ঢোকা এবং মধ্যরাতে ভিন্ন পোশাকে নিচে নেমে আসার সিসিটিভি ভিডিও দেখানো হয় টেলিভিশনের সংবাদ প্রতিবেদনে। এরপর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয় যান।
পরে ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাকলায়েনের বিষয়ে তদন্তে কোনো দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তারপরই সাকলায়েনকে বদলি করা হয়। এরপর এখন তদন্ত কমিটি গঠন হল।