সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা তদন্তে সিআইডি

19

সবুর শুভ

‘ফ্লেমিঙ্গো ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস’ হচ্ছে প্রকৃত ট্রাভেল এজেন্টের অনলাইন পেইজ। শুধু একটি শব্দ কম ব্যবহার করে ‘ফ্লেমিঙ্গো ট্রাভেলস’ নামে আরেকটি পেইজ খুলে বসে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এতে ব্যবহার করা হয় আসল ট্রাভেল এজেন্টের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও পেইজে থাকা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি। নকল পেইজটিতে শুধু বিকাশ নম্বরটা ছিল সংঘবদ্ধ ওই চক্রটির। এতে মানুষ আসল পেইজ মনে করে আশ্বস্ত হয়। গত ২০ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র দুইদিন সক্রিয় ছিল পেইজটি। এরই মধ্যে দুবাই-ঢাকা, দুবাই-চট্টগ্রাম, দুবাই সিলেট, কাতার-ঢাকা, ওমান-ঢাকা ও সৌদি-ঢাকা’র বিমানে ৩৫ শতাংশ মূল্যছাড়ের অফার দিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। বিষয়টি ফ্লেমিঙ্গো ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর মালিক ফরহাদ নয়নের নজরে আসলে তিনি ডবলমুরিং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পর গত সোমবার তিনি চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা ঠুকে দেন। তবে এতে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। তিনি মামলার আরজিতে সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কথা উল্লেখ করেছেন।
এই বিষয়ে ফরহাদ নয়ন জানান, সরকারের অনুমোদন নিয়ে যাবতীয় রাজস্ব পরিশোধ করে আমরা ব্যবসা করছি। হুবহু আমার পেইজ নকল করে আরেকটি পেইজ খুলে বিমান টিকিট বিক্রি শুরু করে সংঘবদ্ধ চক্রটি। বিষয়টি নজরে আসার পর দ্রæত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে আদেশ দিয়েছেন। নকল ওই পেইজটি ঘেঁটে দেখা গেছে, বিমান টিকিটের অফার দেয়া হয় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিকদেরকেই মূলত টার্গেট করে টিকেট বিক্রির অফার দেয়া হয়। এই কারণে একমুখী (দুবাই, সৌদি আরব, ওমান ও কাতার থেকে বাংলাদেশ) টিকিট বিক্রির অফার দেয়া হয় সংঘবদ্ধ চক্রটির তরফে। বাংলাদেশের দিক থেকে কোনো টিকেটের অফার ছিল না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমানের টিকেটের উচ্চমূল্যকে পুঁজি করে প্রবাসীদের ফাঁদে ফেলেছে চক্রটি। টাকা বাঁচাতে প্রবাসীদের বেশ কয়েকজন টিকেটের জন্য টাকা দিয়ে ইতোমধ্যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এতে কয়েক লাখ টাকা গচ্চাও গেছে।
এই বিষয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, এই ধরনের সাইবার ক্রাইম হরহামেশা ঘটছে। ট্রাইব্যুনাল এক্ষেত্রে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিনই এই ট্রাইব্যুনালে সাইবার ক্রাইম সংশ্লিষ্ট মামলা আসছে। আগে ঢাকায় একটি ট্রাইব্যুনাল থাকায় এক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রলম্বিত হতো।