সাইনাসের কষ্ট থেকে দ্রুত মুক্তি দেবে কাঁচা মরিচ!

90

 

ঝাল অনেকেরই পছন্দের খাবার। ভাত কিংবা সিঙ্গারার সঙ্গে একটা কাঁচা মরিচ না খেলে অনেকের পেটই ভরে না। শুধু যে খাবারের স্বাদ বাড়াতে কার্যকর তা কিন্তু নয়! এর রয়েছে আশ্চর্য ওষুধি গুণাবলীও।
এতে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ফলেট, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস। এ সবগুলো উপাদানই দেহের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেলে পাওয়া যায় নানা উপকারিতা। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
সাইনাসের কষ্ট কমায়
কাঁচা মরিচে রয়েছে ক্যাপসিসিন নামক একটি উপাদান যা ঝালের জন্য দায়ী। এই উপাদানটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ক্যাপসিসিন দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে মিউকাস মেমব্রেনের মধ্যে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। যার ফলে সাইনাসের ব্যথা কমে যায় দ্রুত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
প্রতিদিন দুটি কাঁচা মরিচ খেলে যে কোনো রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ইমিউনিটি বাড়ানোর পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় ও ত্বককে সুন্দর করে তোলে।
স্ট্রেস কমায়
প্রচন্ড মানসিক চাপে আছেন? দ্রুত একটি কাঁচা মরিচ খেয়ে ফেলুন। মন ভালো হয়ে যাবে। প্রাকৃতিক এ উপাদানটি খেলেই এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মানসিক চাপ কমে যায় আর মন আনন্দে ভরে ওঠে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
কাঁচা মরিচ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত এটি খেলে ডায়াবেটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ক্যানসার থেকে দূরে রাখে
কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে জমা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানকে বের করে দেয়। ফলে ক্যানসার সেল জন্ম নেয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
হার্ট ভালো রাখে
নিয়মিত দুটি কাঁচা মরিচ খেলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। এতে থাকা উপকারী উপাদানগুলো রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। ট্রাইগ্লিসারাইড যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে এটি। কাঁচা মরিচ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।