সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুই ইউনিয়নের

12

আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা সাপমারা খালের উপর বাঁশের তৈরি সাঁকোটি ভেঙে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন দুই ইউনিয়নে বসবাসরত প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এই সাঁকো দিয়ে চলাচলকারীদের জন্য এখন নৌকাই একমাত্র ভরসা। হাটু সমান কাদায় নেমে তারপর উঠতে হয় নৌকায়। নারীদের জন্য বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে কাদাপানি মাড়িয়ে চলতে হয় জনসাধারণের। দীর্ঘদিন থেকে সাপমারা খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের আশ^াস দিলেও এখনো সেতুর দেখা মেলেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দুই ইউনিয়নের খাল পারাপারের জন্য একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকোটি। যুগ যুগ ধরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী সাপমারা খালের সাঁকোটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের পারাপার। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের।
জানা যায়, দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও সেতু না হওয়ায় দুই ইউনিয়নের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোতেই চলাচল করছে। এই সাঁকো দিয়েই দুই ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র যাতায়াত। এ দুই গ্রামের শিক্ষার্থীদের অন্য ইউনিয়ন, উপজেলা ও চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় গিয়ে লেখাপড়া করতে হয়। অন্যদিকে শঙ্খ নদীতে রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ সাগরে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু সেতু না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি দিয়ে মাছ, জাল নিয়ে জেলেদের পারাপারসহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী মানুষের পারাপারের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাঁকোটি জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভেঙে গেলে প্রতিবছর স্থানীয়দের টাকা দিয়ে পুনরায় মেরামত করতে হয়। এবারও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁশের সাঁকোটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। ফলে কয়েকদিন ধরে গ্রামবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। তাই স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে স্থানীয়দের থেকে টাকা তুলে পুনরায় সাঁকোটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তবে এর একটি স্থায়ী সমাধান চান এলাকার বাসিন্দারা।
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাঁকোটি এই এলাকার জনসাধারণের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। এটা ভেঙে গেলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। প্রতিবারের ন্যায় এবারো স্থানীয়দের নিজস্ব অর্থায়নে সাঁকোটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও জামিরুল ইসলাম বলেন, সাপমারা খালের জন্য একটি সেতুর প্রস্তাবনা হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রæত এটি অনুমোদন হয়ে আসবে।