সহস্রাধিক চীনা নাগরিকের ভিসা বাতিল যুক্তরাষ্ট্রের

21

সহস্রাধিক চীনা নাগরিকের ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত চীনা গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ মে প্রেসিডেন্টে ট্রাম্পের এক ঘোষণায় নিরাপত্তা উদ্বেগজনিত কারণে চীন থেকে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ স্থগিত করার কথা বলা হয়। মূলত প্রেসিডেন্টের ওই ঘোষণার ফলেই এখন এ ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের ঘোষণার আওতায় ২০২০ সালের ৮ মে এক হাজারের বেশি চীনা নাগরিকের ভিসা বাতিল করা হয়। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শাদ উলফ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও গবেষণা পাচারের আশঙ্কায় আগে থেকেই চীনের মিলিটারি ফিউশন স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে যুক্ত গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ভিসা দেওয়া হচ্ছিল না।
শাদ উলফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা চুরিসহ অনৈতিক বাণিজ্যের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার যে ব্যবস্থা রয়েছে বেইজিং তার অপব্যবহার করছে। চীনের অনৈতিকতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি উইঘুর মুসলমানদের সঙ্গে বেইজিং-এর বর্বর আচরণের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, বন্দি উইঘুরদের দিয়ে বাধ্যতামূলক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদনের অভিযোগে স¤প্রতি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পণ্য আমদানি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবিত এই পণ্য তালিকায় থাকছে তুলা ও টমেটো থেকে উৎপাদিত পণ্য।
চীনের শুল্কমুক্ত রফতানি তালিকার অন্যতম প্রধান পণ্য এই দুটি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ও বেইজিং-এর মধ্যকার ক্রমবর্ধমান বৈরিতার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া লাখ লাখ চীনা শিক্ষার্থীকে। মার্কিন বিমানবন্দরগুলোতে এখন চীন থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সন্দেহভাজন প্রযুক্তি পাচারকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে দেশে ফেরার সময় তাদের ওপর শ্যেন দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। চীনা সরকারি বৃত্তি নিয়ে গবেষণা করতে আসা ১৫ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে চুক্তি মাঝপথে বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন।