সর্বশেষ ২৪২ জন রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর

11

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

সর্বশেষ ২৪২ জন রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করার মাধ্যমে তুমব্রুতে রোহিঙ্গাদের আর কোনো অবস্থান নেই। গতকাল রবিবার দিনব্যাপী তাদের স্থানান্তর কার্যক্রম চলে। তবে তুমব্রু থেকে সপ্তম দফায় রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়ার পর বাকী ৫৯৯ রোহিঙ্গার হদিস গতকাল পর্যন্ত পায়নি কক্সবাজারস্থ শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিস। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও।
অন্যদিকে অষ্টম পর্বে নতুন রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসা ৬৭ পরিবারের ২৪২ সদস্যকে রবিবার বিকেল নাগাদ কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।
স্থানান্তর কার্যক্রমের সময় উপস্থিত ছিলেন কুতুপালং ৭নং ক্যাম্পের সিআইসি (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) প্রীতম সাহা ও ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ।এ বিষয়ে চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রথম দফা মালামালসহ ১৩০ রোহিঙ্গাকে নিয়ে ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছায় ১টি বাস ও ১টি ট্রাক। বেলা ২ টার দিকে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হয় সেই একই ক্যাম্পে। এর মাধ্যমে তুমব্রু গ্রামে আর কোনো রোহিঙ্গা থাকলো না।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা আলী আকবর, জামাল সওদাগর ও মো. আলম জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্তের কারণে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রাম থেকে সব রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া শেষ হয়।
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ দপায় নিবন্ধিত ২ হাজার ৩৮৭ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়। এরপর বাকী থাকার কথা ছিলো ৫৯৯ জন। কিন্তু তাদের কোনো হদিস আমরা পাচ্ছি না। পালিয়ে যাওয়া এই ৫৯৯ জন রোহিঙ্গা কোথায় গেছে তা আমি এই মুহুর্তে বলতে পারবো না। আমরা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।