সর্বজনীন পেনশন স্কিম দেশের মানুষকে আরো আত্মনির্ভরশীল করবে : ডিসি

5

ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিম : সচেতনতা ও স্পট রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠান গতকাল সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, লুব-রেফ’র এমডি মোহাম্মদ ইউসুফ, জিপিএইচ ইস্পাত প্রতিনিধি ওসমান গণি চৌধুরী, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল প্রাক্তন সভাপতি মো. টিপু সুলতান শিকদার, সরোয়ার আমিন বাবু, স্বাধীনতা নারী শক্তির পরিচালক মনিকা ভট্টাচার্য, বিএসআরএম প্রতিনিধি ও চেম্বার সেক্রেটারি ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুকসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ কে এম আক্তার হোসেন, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), আলমগীর পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, ওমর মুক্তাদির উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এই উদ্যোগের অংশহিসেবে বৃদ্ধ বয়সে সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেন। তিনি বলেন, নেতিবাচক প্রচারণার কারণে শুরুর দিকে এই স্কিমে নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম থাকলেও বর্তমানে এই স্কিমে অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ প্রবাসে বেশি হওয়ায় তাদের প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণের হার অনেক বেশি। আমি মনে করি প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের কাছে গচ্ছিত রাখার চেয়েও প্রবাসী স্কিমে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ ও লাভজনক। তিনি আরো জানান, এই স্কিমের টাকা সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে সেই বিনিয়োগ থেকে অর্জিত অর্থ পেনশনারদের মুনাফা হিসেবে প্রদান করা হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর আদলে এই স্কিম দেশের মানুষকে আরো আত্মনির্ভরশীল ও আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। তিনি ব্যবসায়ীসহ সকলকে এই স্কিমগুলোর ইতিবাচক দিক সকলের কাছে তুলে ধরার আহবান জানান।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, একটি বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। শুরুতে তিনটি স্কিমের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হলেও দেশের বেসরকারি চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রগতি স্কিম চালু করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের মত বেসরকারি চাকরিজীবীরা এবং সাধারণ মানুষও বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক নিশ্চয়তা লাভ করবে। পরিবারে বয়স্ক সদস্যরা এ ধরনের আর্থিক নিশ্চয়তার মধ্যে থাকলে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের উপর চাপও কমবে। জনগণের কষ্টার্জিত টাকা যেন সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ হয় এবং ঝামেলামুক্তভাবে পেনশনার পায় সেজন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহবান জানান। চেম্বার সভাপতি পেনশন গ্রহীতাদের সকল সমস্যা নিরসনে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস, জনবল ও বুথ স্থাপনের আহবান জানান। তিনি এই পেনশন স্কিমে নিজ নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে স্পট রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করে ব্যবসায়ীদেরও তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। খবর বিজ্ঞপ্তির