সর্বজনীন পেনশন বিল পাস

17

পূর্বদেশ ডেস্ক

দেশের সব নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিলটি জাতীয় সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল; পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর তা ভোটে দিলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
এই পেনশন-সুবিধা পেতে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর প্রিমিয়াম বা চাঁদা দিতে হবে। বয়সের ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। নিয়ম অনুয়ায়ী বিলটি এখন রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। তার অনুমোদনের পরই তা আইনে পরিণত হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এর আওতায় থাকবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা এতে অংশ নিতে পারবেন। খবর বিডিনিউজ’র
প্রিমিয়ামের হার কত হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আইন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি নির্ধারণ করবে। মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দেওয়া যাবে এবং অগ্রিম ও কিস্তিতেও চাঁদা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
সরকার গেজেট জারি করে বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত এই পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ ঐচ্ছিক থাকছে। পেনশনে থাকাকালীন কোনো ব্যক্তি ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে তার নমিনি অবশিষ্ট সময়ের জন্য (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।