সর্দি কাশির ভেষজ প্রতিরোধ

6

আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে রীতিমতো জোরকদমে। লাগছে হিমেল পরশ। এই পরিস্থিতিতে সর্দি, কাশি থেকে বাঁচতে আয়ুর্বেদ হতে পারে মোক্ষম দাওয়াই। আসুন জানা যাক।
আবহাওয়া বদলাচ্ছে। আগে যেখানে গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন মানুষ, তার থেকে কিছুটা হলেও মিলেছে মুক্তি। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক হয়ে যাওয়াটা হল সবথেকে জরুরি। কারণ এই বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে সর্দি, কাশি দেখা দিচ্ছে। এমন অবস্থার সঙ্গে তাই লড়াই করা হল খুবই জরুরি। এবার আয়ুর্বেদে সর্দি, কাশির সঙ্গে লড়াই করার ভালো চিকিৎসা রয়েছে।
ঠাÐা হাওয়া বইতে শুরু করলেই মেজাজ ভালো হয়ে যায় সকলের। মানুষ একটু আনন্দে থাকেন। কারণ সারা বছরের গরম ঠেলে এই সময়টায় কিছুটা হলেও খুশির দেখা মেলে। তবে এই সময়ে সমস্যাও দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে সামনে আসে কাশি, ঠান্ডা লাগা, সর্দি, নাক দিয়ে গড়ানোর মতো অসুখ। তাই সতর্ক হয়ে যেতেই হবে।
এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা লাগালেই নানা চিন্তা মাথায় ঘোরে। সেক্ষেত্রে করোনা বা সোয়াইন ফ্লু হলেও হতে পারে। তবে খুব বেশি চিন্তা না করে প্রথমে চাইলে করা যেতে পারে আয়ুর্বেদে চিকিৎসা। এক্ষেত্রে ভাইরাল কাশি, সর্দির জন্য জবরদস্ত হল আয়ুর্বেদ।
তবে বহু মানুষ তো বিশ্বাসই করেন না আয়ুর্বেদে। তাঁরা ভাবেন এই মান্ধাতা আমলের চিকিৎসাবিজ্ঞানের তেমন ক্ষমতা নেই। যদিও বিষয়টি একবারেই ঠিক নয়। কারণ আয়ুর্বেদ পারে বহু সমস্যার সহজ সমাধান করে দিতে। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়া হল জরুরি। এই বিষয়ে ভারত সরকারের ন্যাশনাল হেলথ পোর্টালে সর্দি, কাশির আয়ুর্বেদ চিকিৎসা সম্পর্কে বিশদে জানানো হয়েছে-
১. ​আদার রস কমাতে পারে সর্দি-কাশি: সর্দি, কাশির ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী আদা। এতে কাশি কমে। এমনকি কফ উঠে আসে। সেক্ষেত্রে ১৪ এমএল আদার রস নিন। তারসঙ্গে মিশিয়ে নিন মধু। এরপর তা দিনে দুইবার খেয়ে যান। দেখবেন সমস্যা কমেছে।
​২. বাসক পাতার জুস খেলে কমে সর্দি-কাশি : বাসক পাতার রস খেতে পারেন। এই গাছের পাতা আপনি পেয়ে যাবেন। তারপর রস করে নিন। সেক্ষেত্রে ৭ থেকে ১৪ এমএল রস থাকা দরকার। এর সঙ্গে সম পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবেই ভালো থাকতে পারবেন।
​৩. পদ্মের বীজ সর্দি-কাশি কমায়: পদ্মের বীজ যে সর্দি, কাশি কমায়, এটা জানতেন না নিশ্চয়ই। সেক্ষেত্রে পদ্মের বীজ দারুণ কাজ করে সর্দি, কাশিতে। ১ থেকে ৩ গ্রাম বীজের পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই মিশ্রণ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান।
​৪. মধু ও গরম জল ভালো কাজ করতে পারে: মধুর রয়েছে প্রদাহনাশক ক্ষমতা। তাই কাশি, সর্দি থাকলে মধু দারুণ কার্যকরী। এবার একগ্লাস গরম জল করুন। সেখানে মিশিয়ে ফেলুন কিছু পরিমাণে মধু। তারপর তা খান। এভাবে দিনে দুইবার খেতে হবে। আশা করছি সমস্যা দ্রুত কমে যাবে।
​৫. কিশমিশ কমাতে পারে সর্দি, কাশি: এই মিশ্রণ দারুণ কার্যকরী। কিশমিশ, মুলেঠি, খেজুর ও কালো মরিচ নিন। তারপর তা চূর্ণ করুন। এরপর সেই চূর্ণ খান ৪ থেকে ৬ গ্রাম মধুর সঙ্গে নিয়মিত। দেখবেন বহু সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। তাই কাশি, সর্দি কমাতে চাইলে এই খাবার খান।