সরে দাঁড়ালেন লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী

7

দল নিরপেক্ষ মন্ত্রিসভা গঠনে নিজের উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন লেবাননের নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আদিব। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে আদিব বলেন, সরকার গঠনের কাজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় দুইশ’ মানুষের মৃত্যুর পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে লেবানন। গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় মাত্র এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব সরকার। ৩১ আগস্ট পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত নতুন ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পান জার্মানিতে নিযুক্ত লেবাননের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুস্তফা আদিব। তবে প্রভাবশালী দুটি শিয়া রাজনৈতিক দলের দাবির কারণে মুস্তফা আদিবের নতুন সরকার গঠনের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্থ হয়। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং তাদের মিত্র আমার মুভমেন্ট নতুন মন্ত্রিসভায় শিয়া মন্ত্রিদের নাম ঘোষণার দাবি তোলে। শিয়া নেতাদের আশঙ্কা বিগত বছরগুলোর মতো এবারও তাদের দূরে সরিয়ে রাখবেন সুন্নি মতালম্বী আদিব। লেবাননের সাম্প্রদায়িক নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করতে ফ্রান্সের চাপ সত্ত্বেও নতুন সরকার গঠনে ব্যর্থ হলো দেশটি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে লেবাননে নতুন সরকার গঠন হবে বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রনকে প্রতিশ্রুতি দেয় দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে শিয়া দল হিজবুল্লাহ ও আমাল একরোখা মনোভাবে অটল থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে চাপ শুরু করে। তাদের দাবি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব একজন শিয়া নেতাকেই দিতে হবে। তবে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা লেবাননের পরিস্থিতি উন্নয়নে মুস্তফা আদিব বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করছিলেন। তবে এক্ষেত্রে তিনি দেশটির সাম্প্রদায়িক সরকার ব্যবস্থার প্রবল বাধার মুখে পড়েন।