সরকার সব ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে

24

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার সব ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা ও সাহস নেই। তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। ২ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত পাঠাতে পারেনি। আসামে নাগরিকপঞ্জির নামে গভীর চক্রান্ত চলছে। আসামের নাগরিকপঞ্জির দাবি ভুল। নাগরিকপঞ্জির নামে দেশকে বিপদগ্রস্ত করতে গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকীর সম্মুখীন। সরকার এখন মাকাল ফলে পরিণত হয়েছে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মহানগর বিএনপির মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। জনগণের অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশে খুনি, সন্ত্রাসী, ধর্ষণকারী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীর জামিন হলেও বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হয় না। কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছেন না। সরকার তার জামিন দেয়া তো দূরের কথা চিকিৎসারও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তারা আদালতকে ব্যবহার করে বার বার তার জামিন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার প্রধান সংসদে বলেছেন তার সরকার বিএনপি ও জিয়া পরিবারের সাথে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে না। আবুল হাশেম বক্কর প্রশ্ন করেন বেগম খালেদা জিয়া কি খুনি? হাজার কোটি টাকা আত্মসাতকারী? মাদক ব্যাবসায়ীদের চেয়ে বেশি অপরাধ করেছে? আসলে বেগম খালেদা জিয়া কোন অপরাধ করে নাই তার অপরাধ হলো তিনি দেশের মানুষের অধিকার ও ভোট চুরির বিরুদ্ধে কথা বলেন। সরকার জানে বেগম জিয়া যেদিন মুক্তি পাবেন সেদিন তাদের অবৈধ ক্ষমতা তাসের ঘরের মত উড়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, আদালত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে এক কদম হাঁটতে পারে না, তাই আদালতের ওপর নির্ভরশীলতা আর বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রাখা একই কথা। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকার একমাত্র বাধা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আদালতকে প্রভাবিত করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত করা হচ্ছে। এজন্য জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করতে হবে এবং নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, দেশে এখন ভয়াবহ সংকট চলছে। জনগণের কাধে একদলীয় শাসন ভর করেছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সবমিলিয়ে বিপর্যয়ের মুখে মাতৃভূমি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে একমাত্র বাধা শেখ হাসিনা। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশে আন্দোলনের কর্মসূচি চলবে। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, সামছুল আলম, এস এম অবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সহসাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম (ডক), জিএম আইয়ুব খান, মো. সালাহ উদ্দিন, এস এম জাহাঙ্গির আলম, সম্পাদকবৃন্দ শিহাব উদ্দিন মুবিন, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, হামিদ হোসেন, শেখ নুরউল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, সরফরাজ কাদের রাসেল, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ সালাউদ্দিন কায়সার লাভু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালি, আবু মুসা, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মনির আহমেদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন জিয়া, বাদশা মিয়া, শরীফ উদ্দিন খান, নূর হোসাইন, আবদুল কাদের জসিম, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, হামিদুর রহমান, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, অঙ্গ সংগঠনের নগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আবদুল মান্নান রানা, তাহের আহমেদ, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, গাজী আলাউদ্দিন, মনোয়ার হোসেন মনু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী সামশুল আলম, মো. ইলিয়াছ, মো. বেলাল, মো. আজম, আলাউদ্দিন আলী নূর, ফারুক আহমেদ, মো. রফিক চৌধুরী, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, আশ্রাফ খান, আবু ফয়েজ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, জসিম মিয়া, কামরুল ইসলাম, ফিরোজ খান, মো. হাসান, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নাসিম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আসাদুজ্জামান দিদার, জমির উদ্দিন নাহিদ, মোজাম্মেল হক হাসান, নুরুদ্দিন সোহেল, আসাদুর রহমান টিপু, রাজন খান, মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাহ উদ্দিন, মো. নওশাদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি