সরকার জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নিয়েছে

18

 

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ৪৮ সাল থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। এরপর থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার জন্য আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত আন্দোলনকে থামানোর জন্য তৎকালীন পাকিস্তানি পাক-হানাদার বাহিনী একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা সৈনিকদের উপর গুলিবর্ষণ করলে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই প্রাণ হারায়। আজ আমরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। এটা বাঙালি জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বিশ্বের কোনো দেশ নেই যে ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। একমাত্র বাঙালি জাতিকে ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে।
তিনি গতকাল সোমবার বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আব্দুল্লাহ-আল নোমান আরো বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নিয়েছে। জনগণের সকল অধিকার খর্ব করেছে। জনগণ সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিএনপি ১০ দফা দিয়েছে। ২৭ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন চায়। জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকবো। এই সরকারের পতনের মাধ্যমে জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলন, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১/১১ মঈন-ফখরুদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন সর্বোপরি বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সবকিছুর মূলমন্ত্র জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমার অধিকার আমার দেশ, সে অধিকার আদায়ের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান, পেশাজীবী ড. এসএম সিদ্দিক আহমেদ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এসএম বদরুল আনোয়ার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পেশাজীবী নেতা প্রফেসর নজরুল কাদেরী, ডা. খুরশিদ জামিল, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক এমএ আজিজ, যুগ্ম আহব্বায়ক অ্যাড. আবদুস সাত্তার, এসএম সাইফুল আলম, এসকে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহব্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, অ্যাড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলা দলের ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক মো. সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমূখ। বিজ্ঞপ্তি