সরকার কোন দুঃখে এসব করতে যাবে

5

গত ১২ বছরে দুর্গাপূজায় কোনোধরনের সহিংসতা বা সমস্যা হয়নি, কিন্তু এবার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এই অপকর্ম করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা এই অপকর্মে জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। হিন্দুদের মন্দিরে যারা হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল শনিবার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না, তাদের গাত্রদাহ হওয়াই স্বাভাবিক। ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে একটি মহল ধর্মের মূল চেতনা বিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে বারবার সহিংসতার সুযোগ খুঁজছে। তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।
সরকার এসব তান্ডবে জড়িত- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চান। সরকার দেশে স্থিতিশীলতা চায়, সরকার কোন দুঃখে এসব করতে যাবে? দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীল তৈরির যে অপচেষ্টা হয়েছে বা হচ্ছে এবং এর পেছনে যারা মদদ দিচ্ছে, সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী ও নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জেলা থেকে তথ্য গোপন করে যারা বিতর্কিত প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। খবর বাংলানিউজের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে যারা দলে বা নির্বাচনে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের হারানোর কিছু নেই, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে শেখ হাসিনা তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যতক্ষণ নেতৃত্বে আছেন কারো শ্রম- ত্যাগ বৃথা যাবে না। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
নির্বাচনে অভিযোগের পাহাড় বা স্তূপ জমা হয়ে আছে অথবা দফায় দফায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ মোটেই সত্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ৪০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে, এর মধ্যে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। অভিযোগ করলেই যে সব সত্য, এমনটা মনে করার কিছু নেই।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিল্লুর হাকিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামিম ও ইকবাল হোসেন এবং রাজবাড়ী জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।