সরকার উৎখাতে বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথে

7

বোয়ালখালী প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি বলেছেন, বিএনপি বলছে আমরা কেন সমাবেশ করছি, প্রতিবাদ করছি। তারা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না, খেলতে যখন নেমেছেন দুই দলই খেলবে।
৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রাচীনতম দল, মুক্তিযোদ্ধার দল, দেশ প্রেমিকের দল। সন্ত্রাসীদের দল নয়। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। অনেকেই চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগের শেকড় উপড়ে ফেলতে। যারাই ক্ষমতায় আসে তাদের উদ্দেশ্যই থাকে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার।
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান আরও বলেন, বিএনপির নেতারা বলছেন আমরা গাড়ি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। আমরা গাড়ি বন্ধের নির্দেশ দেইনি। আপনারা যাদের গাড়ি পুড়িয়েছেন তারা গাড়ি বের করতে ভয় পায়। কারণ বিএনপি গাড়ি পোড়ায়-ভাঙচুর করে। গাড়ির একটা গøাসের দাম এক মাসেও আয় করা যায় না। তাই গাড়ি বের করি না।তিনি বলেন, সেই জামায়াতী, যুদ্ধাপরাধী নিজামী মুজাহিদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিল বিএনপি। আরেকজন হচ্ছেন সাকা চৌধুরী। কী বিকৃতভাবে কথা বলতেন! যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের বিচার হয়েছে। বিএনপি চুপ ছিল। কারণ বিএনপি জানে ওরা রাজাকার।
সকাল ১১টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি। তিনি বক্তব্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থন আছে। ৪ ডিসেম্বর আপনারা দেখেছেন চট্টগ্রামের স্মরণকালের সমাবেশ। চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ-নির্বাচনে মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। সামগ্রিকভাবে এলাকার উন্নয়ন করেছি। কালুরঘাট সেতুর জন্য আন্দোলন করতে হবে না। এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্যতম প্রকল্প। ২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে সেতুটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬টি আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ আগুনে পোড়া ফিনিক্স পাখি। একজন কর্মী হারিয়ে গেলেও হাজারো কর্মী তৈরি হয়। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএম আবুল কালাম বলেন, সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো জনগণের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে নেতাকর্মীদের।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ অন্যায়- শোষণের বিরুদ্ধে লড়েছে। প্রায় ২৪ বছর পর বোয়ালখালী আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলন করা গেলে অনেক নতুন নেতৃত্ব পেতাম। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ধৈর্য্য ধারণ করেছেন। সরে যাননি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ত্যাগের রাজনীতি করেন, ভোগের রাজনীতি করেন না। ১০ ডিসেম্বর নগরে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সমঝোতার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী আদর্শিক কমিটি গড়তে চাই। তাই সমঝোতার বিকল্প নেই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, এড. জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।