সরকার আছে শুধু টেলিভিশনে : ফখরুল

30

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কোথাও সরকারের অংশগ্রহণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সরকার কোথায়? সরকার এখন রাস্তাতেও নেই। অর্থাৎ গোড়ায়-আগায়, মনে-গোপনে, কার্যালয়ে নেই। সরকার এক জায়গায় আছে, শুধু টেলিভিশনে। আর কিন্তু তারা কোথাও নেই’।
সংকট মোকাবেলায় বিরোধী দলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ এবং স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করার দাবিতে কর্ণপাত না করায় সরকারের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম সর্বদলীয় একটা উদ্যোগ গ্রহণ করতে, সেই উদ্যোগও গ্রহণ করেনি তারা। এটা বাদ দিয়ে ব্যুরোক্রেট-বিশেষজ্ঞ ছাড়া স্বনামধন্য যারা আমাদের দেশে আছেন তাদের নিয়েও টাস্ক ফোর্স গঠন করার দাবি আমরা করেছিলাম। সেটাও করা হয়নি। স্বাস্থ্য খাতে একটা টেকনিক্যাল কমিটি করেছে। সেখানে দেখবেন অনেক বরেণ্য চিকিৎসক বাদ পড়েছে এবং এই ধরনের ভাইরাল ডিজিজ নিয়ে যারা লেখাপড়া কাজ করেছেন তাদেরকে সম্পৃক্তই করা হয়নি। সেখানে দলীয়করণ করা হয়েছে’।
শপিংমল খুলে দেয়া নিয়ে প্রশ্ন
ঈদ সামনে রেখে শর্ত সাপেক্ষে ১০ মে থেকে শপিং মল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘মল-শপিং মল খুলে দিচ্ছেন খুব ভালো কথা। ঈদে যারা কাজ করে, কাপড় তৈরি করে, কেনাবেচা করে, ছোট-বড় ব্যবসায়ী তাদের জন্য দরকার প্রয়োজন আছে। সেটা কি আমার মানুষের জীবনের বিনিময়ে? একটা মাস কি সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যেত না? আসলে সরকার ব্যর্থ হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ব্যর্থতার কারণে দেশকে এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন-জীবিকা দুইটাই যেমন রাখতে হবে ঠিক, সংক্রমণ যেহেতু এখনও ঊর্ধ্বমুখী, সেহেতু আরো কিছুদিন অবরুদ্ধ সমাজিক দূরত্ব নীতিমালা কঠোরভাবে পালন করা উচিত ছিল। কারখানাগুলো এমনভাবে খোলা যেতে পারত যে, ধীরে ধীরে একটা কারখানায় সকল ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করে, শ্রমিকদের যে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সেটা নিশ্চিত করে। সেটা তো করা হয়নি। বলা যেতে পারে কোনো রকমের কোনো দূরদর্শিতার প্রমাণ সরকারের দেখতে পাইনি। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অদূরদর্শিতা, সমন্বয়হীনতা এবং চরম উদাসীনতা এখানে প্রমাণ হচ্ছে’।
ফখরুল বলেন, ‘সরকারকে বলব, এই ধরনের দাম্ভিকতা না রেখে, এই ধরনের অহংকার থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের পাশে এসে দাঁড়াতে। সুরক্ষিত অট্টালিকায় থেকে মানুষের দুর্ভোগ, মানুষের কষ্ট-বেদনা সেটা বোঝা যায় না। দায়-দায়িত্বটা সরকারের, এটা বুঝতে হবে’। খবর বিডিনিউজের