সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকার উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। রিজার্ভ সংকটের কারণে আইএমএফ থেকে ঋণ গ্রহণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার জন্য যে সমস্ত লোক দেখানো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তা জনগণের জন্য এক সময় বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে।
গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি অফিসের মাঠে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চোর ও দুর্নীতিবাজ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। সদ্য প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট চুরি, মানবাধিকার লংঘন, বিরোধীদলের সভা-সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোট চুরি করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার নীলনকশা করেছে। কিন্তু আমরা এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেব না। এই সরকারের অধীনে কোনো পাতানো নির্বাচন আমরা বাংলাদেশে হতে দেব না। তিনি বলেন, জনগণ আর কোনো ফাঁদে পা দেবে না। এই সরকারকে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার দল হচ্ছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য অবাধ গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, অন্ন, বস্ত্র ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা। আওয়ামী লীগ মানুষের এইসব মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তিনি বলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এখন অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আরেকটি সংগ্রামের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আবদুল্লাহ আল নোমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ’৭১ এর মত ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানান।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম. নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাথী উদয় কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাবুদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহব্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস, কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাহেদ, থানা বিএনপি নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মোশারফ হোসেন ডিপ্টি, মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, জসীম উদ্দিন জিয়া, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়েছে।