সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজারো রোজাদারের ইফতার

36

এম এ হোসাইন

নব্বইয়ের দশক থেকে রোজার সময় জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন হয়ে আসছে। শুরুতে ইফতারের আয়োজন ব্যপ্তিটা তেমন বড় না হলেও ২০০৯ সাল থেকে বেড়েছে আয়োজনের পরিধি। ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, পেয়াজু, আলুরচপ, সমুচা, শরবত, মুড়ি ও খেজুর দিয়ে ইফতার আয়োজন করা হয়। মাঝেমধ্যে যোগ হয় ফিরনী, হালিম, সেমাই এর মতো রকমারী মেনুও।
হাজারো রোজাদারের কাতার হয় জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে। ভেদাভেদ ভুলে ইফতার করার জন্য ধনি-গরিব সবাই একই থালাতে বসে পড়েন।
আছর নামাজের পর থেকেই জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদে ইফতারি সাজানোর কাজ শুরু হয়। মাইকে শুরু হয় রমজানের ফজিলত নিয়ে আলোচনা। আস্তে আস্তে ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসে। মসজিদে বাড়তে থাকে রোজাদারের সংখ্যাও। ইফতারের আগমুহুর্তে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে মসজিদের চত্বর। সবাই নিরবতায় শুনেন আলোচনা। অনেকেই দরুদ পড়েন। জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদে ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের ব্যবস্থাপনার দইয়ত্বে আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রথম রোজার দিন ৫০০ এর অধিক রোজাদার ইফতার করেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এখানে পুরো ইফতারির আয়োজন করা হয়। ছোলা, মুড়ি, পেয়াজু, বেগুনি, সমুচা, আলুরচপ, জিলাপী, শরবত ও খেজুর দিয়ে প্রথম দিনের ইফতারি হয়েছে। সামনে রোজাদারের সংখ্যা বেড়ে হাজারে ঠেকবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে এখানে ইফতার আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টা থেকে রান্না শুরু হয়। ৫ জন বাবুর্চি ও ৫ জন সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাসব্যাপী তারা মসজিদ এলাকায় ইফতারগুলো তৈরি করবেন।
মসজিদে ইফতার করতে আসা জিয়াউল হক ইমন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসেছেন ইফতার আয়োজনে। সবার সাথে বসে ইফতার করতে ভাল লাগে। একেক জন একেক এলাকার। তারপরও যেন একই পরিবারের আমরা সবাই। মূলত তারাবি’র নামাজ পড়ার জন্য জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে আসি। আছরের নামাজের সময় এসে ইফতারে অংশ নিই, পরে তারাবি নামাজের পর বাসায় ফিরি।