সরকারি গুদামে খাদ্যশস্য মজুদ ১৭ লাখ টন

3

চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বোরো সংগ্রহের পাশাপাশি আমদানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে চলায় খাদ্য শস্য মজুদের নতুন রেকর্ড হওয়ার আশা করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে সরকারি খাদ্যগুদামে মোট মজুদের পরিমাণ ১৬ লাখ ৬৯ হাজার টন। চলমান অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযানে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ লাখ ৪০ হাজার টন চাল, ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন ধান এবং ১ লাখ ৩ হাজার টন গম সংগৃহীত হয়েছে।
গত কয়েক মাসে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম। আরও ৫ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আসার অপেক্ষায় আছে।
অন্যদিকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বোরো সংগ্রহ অভিযান। এই সময়ের মধ্যে আরও ৭ লাখ টন খাদ্য শস্য অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের আশা করছে মন্ত্রণালয়।
এসবের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের আশা এবার দেশে খাদ্য মজুদের পরিমাণ অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।মহামারির মধ্যে আগের কয়েকটি ধানের মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী না হওয়ায় দেশে খাদ্যশস্যের মজুদ কমে যায়। সরবরাহ সংকটে চালের বাজারও চড়া হয়ে যায়। মূলত মিল মালিকরা সরকারকে চাল সরবরাহ না করায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি। তারা চালের দর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ও মজুদ ঠিক রাখতে শেষ পর্যন্ত সরকারকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘দেশে সব সিএসডি ও এলএসডি গোডাউনের বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ টন। অগাস্ট শেষে মজুদের এই পরিমাণ আরও বাড়বে। ফলে সরকারি গোডাউনে খাদ্য শস্য মজুদের স্থান সংকুলান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে’।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একজন মানুষও যেন খাবারের কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সব সময় সচেষ্ট ছিল’।
তিনি আরও বলেন, খাদ্য মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে তিনটি সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে, ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি সাইলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং চারটির টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ‘সম্প্রতি একনেকে ৩০টি পেডি সাইলোর অনুমোদন পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১৭০টি পেডি সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো নির্মিত হলে খাদ্য শস্য মজুদ নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না’।
খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেন, ‘এই মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ মূল্য বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় সংগ্রহ অভিযান সফল হওয়ার পথে। কৃষক এবার ফসলের নায্যমূল্য পেয়ে খুশি’। খবর বিডিনিউজের