সরকারি খরচে আইনি সহায়তা অসহায় বিচারপ্রার্থীর অধিকার

25

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই প্রেক্ষিতে সরকার অসহায় ও দরিদ্র বিচারপ্রার্থীর ন্যায়-বিচার নিশ্চিতকল্পে ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গরিব দুঃখির বিচার পাওয়ার অধিকার, শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে দেশব্যাপী সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকারি খরচে আইনি সহায়তা অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণের নাগরিক অধিকার। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, চট্টগ্রামের প্যানেল আইনজীবীগণ উক্ত কার্যক্রমে আন্তরিকভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ওই কার্যক্রমে প্যানেল আইনজীবীদের অগ্রণী ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবীদের ভূমিকা গুরুপূর্ণ। প্যানেল আইনজীবীরাই সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমের অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি আপনাদের আরো অধিকতর আন্তরিকভাবে উক্ত কার্যক্রমে সক্রীয় ভূমিকা পালন করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
চট্টগ্রামে অনেক প্যানেল আইনজীবী ক্লায়েন্টদেরকে সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন উল্লেখ করে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে নিজ দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, এমন সব উপকারও মানবিক দিক থেকে করে থাকেন তারা। একজন আইনজীবীর কাছ থেকে এ ধরনের সহযোগিতা একজন অসহায় বিচারপ্রার্থীর জন্য অনেক বড় কিছু।
গত সোমবার সকাল ৯টায় জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা লিগ্যাল প্যানেল আইনজীবীদের শুদ্ধাচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) রাজিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমি। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মুজাহিদুর রহমান। সভায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে সফল ইর্ন্টানশিপ সমাপ্তিতে ক্রেস্ট ও সনদ দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএম ৩২তম ব্যাচ’র শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি ও জনাম ইমতে আজুল ইসলামকে। এছাড়া ডিল্যাক’র ৪০জন প্যানেল আইনজীবীকে শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণে সফল সমাপ্তিতে সনদ প্রদান করা হয়।