সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৬০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি

22

পূর্বদেশ ডেস্ক

নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান না করা পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের অন্তবর্তীকালীন ৬০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীরা। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান বলেন, ‘২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর বিগত সাত বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, চিকিৎসা ব্যয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান অত্যাবশ্যক।’
নিজেদের দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বেতনের ১০০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ৪ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা, দৈনিক ৫০ টাকা যাতায়াত ভাতা, দৈনিক ১০০ টাকা টিফিন ভাতা, সন্তান শিক্ষা ভাতা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল ভাতা হিসাবে প্রদান, ১০০ শতাংশ পেনশন, ১:৪০০ হারে গ্রাচুয়িটি, চাকরির বযসসীমা ৬৫ বছর, সমুদয় পাওনা ছুটির বেতন প্রদান করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও সৃষ্ট বৈষম্য নিরসন করে সচিবালয় বহির্ভূত দফতর প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমপদের, সমমানের কর্মচারীদের সচিবালয়ের অনুরূপ ২য় শ্রেণীর পদমর্যাদায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতনস্কেল দিতে হবে। সচিবালয়ের স্টেনোগ্রাফারদের অনুরূপ সচিবালয় বহির্ভূত দফতর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্টেনোগ্রাফার ও স্টেনোটাইপিস্টদের ২য় শ্রেণির পদমর্যাদায় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও বেতনস্কেল দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২৪ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৬ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন দফতর ও প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক বিভাগ ও জেলাগুলোতে দাবির সমর্থনে কর্মচারী সমাবেশ করা হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১১ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, কার্যকরী সভাপতি নূরুন্নবী ও রায়হান চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।